মির্জা ফখরুলের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন 

images67সিটিএন ডেস্ক:
অবশেষে ভারপ্রাপ্ত থেকে বিএনপির মহাসচিবের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব পেলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার সকালে দলটির নয়া পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব ছাড়াও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এবং কোষাধ্যক্ষ এ দুটি পদেও নাম ঘোষণা করা হয়।
প্রায় পাঁচ বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালনের ইতি ঘটিয়ে তিন যুগ পার করে আসা দল বিএনপির সপ্তম মহাসচিব হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হলো মির্জা ফখরুল ইসলামের নাম।
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতি দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। অর্থনীতির ছাত্র মির্জা ফখরুল ১৯৯৬-৯৭ সালে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি এবং কেন্দ্রেীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রাজনীতি থেকে ইস্তফা দিয়ে শিক্ষা ক্যাডারে যোগ দেন মির্জা ফখরুল। ১৯৮৭ সালে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং নির্বাচিত হন ঠাকুরগাঁও পৌরসভার চেয়ারম্যান। ২০০১ সালে ঠাকুরগাঁও ১ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে ৪ দলীয় জোট সরকারের কৃষি প্রতিমন্ত্রী এবং পরে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়ে ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
২০১১ সালের ২০ মার্চ থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন বিএনপির সপ্তম এই মহাসচিব। এর আগে ১৯৭৮ সালে ১লা সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করা দল বিএনপির প্রথম মহাসচিব হয়ে ছিলেন অধ্যাপক ড. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। এর ৮ বছর পর দ্বিতীয় মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পান অবসর প্রাপ্ত কর্নেল মুস্তাফিজুর রহমান। বছর না পার হতেই ১৯৮৭ সালের মার্চে কে এম ওবায়দুর রহমান এবং এক বছরের মাথায় তাকে বহিস্কার করে চতুর্থ মহাসচিব করা হয় ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারকে। তার পদত্যাগের পর ১৯৯৬ সালের জুনে মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয় আব্দুল মান্নান ভূঁইয়াকে। ২০০৭ সালে সেপ্টেম্বরে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়াকে বহিস্কার করে খন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে করা হয় মহাসচিব। এরপর তার মৃত্যুর পর মহাসচিবের ভার দেওয়া হয় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে।
মির্জা ফখরুল ইসলামকে পূর্ণ মহাসচিব করার পাশাপাশি যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদকে সিনিয়ন যুগ্ম মহাসচিব করেছে বিএনপি এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে আবারো মিজানুর রহমান সিনহাকে বেঁচে নিয়েছে দলটি।
গত ১৯ শে মার্চ কাউন্সিলের ১১ দিন পর তিনটি পদের নাম ঘোষণা করা হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি কবে ঘোষণা হবে তা এখনও নিশ্চিত করেনি বিএনপি।
উল্লেখ্য, বিএনপির এই নেতা ১৯৪৮ সালের ১ আগস্ট ঠাকুরগাঁও জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি সক্রিয় রাজনীতির সাথে জড়িত হলেও কর্মজীবনের শুরুতে তিনি শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন এবং একাধিক সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেন।
সূত্র : এনটিভি


শেয়ার করুন