মালয়েশিয়া পাড়ি: ৩ বছর ধরে নিখোঁজ টেকনাফের ২৩ যুবক

images (2)আমান উল্লাহ আমান, টেকনাফ :
টেকনাফ উপজেলার ২৩ যুবক দালালের খপ্পরে পড়ে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাড়ি দিতে গিয়ে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছে। এতে উদ্বেগ্ন হয়ে পড়েছে তাদের পরিবার। এ ব্যাপারে নিখোঁজদের পরিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে ৬ দালালদের বিরুদ্ধে আইনগ্রত ব্যবস্থা গ্রহন করতে অভিযোগ দাখিল করেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের বিভিন্ন সময়ে চিহ্নীত মানবপাচারকারী পুর্ব লেদার মোহাম্মদ আলম, মুফিজ আলম, পশ্চিম লেদার নুরুল হুদা, লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডাঃ কবীর ও হাফেজ আয়ুব বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ২৩ যুবককে মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা বলে বাড়ী থেকে নিয়ে যায়। এরা হচ্ছে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলার পশ্চিম লেদার নুর মোহাম্মদের পুত্র আবুল কাসেম, কামাল আহমদের পুত্র এরশাদ উল্লাহ, নুরুল আলমের পুত্র নুরুল কবির, নুর মোহাম্মদের পুত্র আবুল কালাম, নুরুল আলমের পুত্র গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদের পুত্র জুহুর আলম, শব্বির আহমদের পুত্র দেলোয়ার হোসেন, হাছু রহমানের পুত্র মফিজ, হাবিবুর রহমানের পুত্র কামাল হোসেন, সোনা আলীর পুত্র রশিদ মিয়া, নুরুল ইসলামের পুত্র আব্দুর রহিম, লেদা লামনীপাড়ার দুদু মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ হাছন, উত্তর আলীখালীর মোঃ আমিন ওরফে আমিনার পুত্র কামাল হোছন, দক্ষিণ আলীখালীর মোহাম্মদ আয়ুবের পুত্র আব্দুল্লাহ, পূর্ব লেদার আব্দু সালামের পুত্র মফিজ আলম, আব্দুর রশিদ ওরফে গাজূর পুত্র আবু বক্কর, মোস্তফা মাষ্টারের পুত্র মোঃ রফিক, মনিরুজ্জামানের পুত্র হাসান আহমদ, খলিলুর রহমানের পুত্র মোঃ হোছন, শামসুল আলমের পুত্র সাদ্দাম হোসেন, মৃত ছৈয়দ কাসিমের পুত্র মুক্তার হোসেন, ছিদ্দিক আহমদের পুত্র মোঃ ইসমাঈল, মোহাম্মদ হোছনের পুত্র আবু বক্করসহ ২৩ যুবক।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করে যে, স্থানীয় দালালচক্র নিখোঁজ যুবকদের ফুসলিয়ে প্রলোভনে ফেলে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠিয়েছিল। মালয়েশিয়া পৌছে গেছে এঅজুহাতে নিখোঁজদের পরিবারের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় ওই পাচারকারী চক্র। পরে দীর্ঘ দিন যাবৎ খোঁজ খবর না পাওয়ায় উদ্বিগ্ন পরিবার ও অভিভাবকরা দালালের কাছ থেকে টাকা ফেরত চাইলে জীবনে মারার হুমকি দেয়। অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের ব্যবসা করে আসছেন। এব্যাপারে অভিযুক্তদের দালাল ও মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আতাউর রহমান খোন্দকার জানান, মানবপাচারের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। পাচারে জড়িত যত বড় রাঘববোয়াল হউক না কেন তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।


শেয়ার করুন