মানবপাচারবিরোধী রোডমার্চ এ বক্তারা

মানবপাচারে জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

11825615_10204720302309654_7781930396091916481_nসিটিএন রিপোর্ট :

মানবপাচারের মতো জঘন্য কাজে দালাল হিসেবে চিহ্নিতরা আটকের পর জমিনে বের হওয়ার ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।

তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আইনের দুর্বলতার সুযোগে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দালালদের বিচার করা না হলে এটা হবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।’

মানবপাচারে জড়িত গডফাদার ও দালালদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনাসহ ৭ দফা দাবিতে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ‘রোড মার্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

কক্সবাজারের হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স ফোরামের উদ্যোগে আইন ও সালিস কেন্দ্রের সহায়তায় কক্সবাজার কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ রোড মার্চটি শুরু করা হয়।

এতে উদ্বোধক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, ‘কিছু জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও এ ঘৃণিত কাছে জড়িত।’ তাদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তির দাবি জানান তিনি।

এছাড়া বক্তব্য দেন, ‘ভালবাসি বাংলাদেশ’ মালয়েশিয়ার সংগঠক হারুনুর রশিদ, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সদস্য লিটন খান, কক্সবাজারের হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স ফোরামের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট অরূপ বড়ুয়া তপু, ইপসার কর্মকর্তা সিরাজ উদ্দিন বেলাল, নোঙরের নির্বাহী পরিচালক দিদারুল আলম রাশেদ।

মানবপাচারে জড়িত গডফাদার ও দালালদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা, বিভিন্ন রাষ্ট্রে উদ্ধার হওয়াদের দেশে ফিরিয়ে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ, নিহত ও আহতদের পুনর্বাসন, মানবপাচার আইন কার্যকর করাসহ ৭ দফা দাবিতে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ‘রোড মার্চ’ শুরু হয়েছে।

সমুদ্র উপকূলবতী অঞ্চলকে ব্যবহার করে সমুদ্রপথে মানবপাচারের সচেতনার লক্ষ্যে আয়োজিত রোডমার্চটি টেকনাফ পর্যন্ত যাবে। মরিচ্যা পালং হাই স্কুল, উখিয়া কলেজ, কোটবাজার, নয়াবাজার সভা করে টেকনাফ সদরে গিয়ে শেষ হবে এ ‘রোড মার্চ’।


শেয়ার করুন