প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে

মাতারবাড়িকে আধুনিক শিল্পাঞ্চলে উন্নিত করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

matar-bareeeeeeeeeeeবিশেষ প্রতিবেদক ॥

মহেশখালির মাতারবাড়িতে আধুনিক শিল্প নগরী গড়ে তোলার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শিল্প মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ইকোনমিক অথরিটিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি অধিগ্রহনকৃত জমির ক্ষতি পূরণের টাকা যুগোপযোগী করে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে পৌঁছাতেও বলা হয়েছে।

জাইকার অর্থ সহায়তায় মাতারবাড়িতে উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। সেখানে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশাপাশি, গভীর সমুদ্র বন্দর, বিশাল আকারের জেটি ও হারবার নির্মাণ, তরল প্রাকৃতিক গ্যাস, (এল.এন.জি) টার্মিনাল নির্মাণসহ দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষনের জন্য থাকছে বিশেষ অর্থনীতিক জোন। যাতায়াতের আকর্ষনের জন্য থাকছে বিশেষ অর্থনীতিক জোন। যাতায়াতের জন্য মহাসড়ক ও রেলওয়ে ও লিংক স্থাপিত হবে। জেটি, কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম হয়ে সরাসরি ঢাকার সাথে যুক্ত থাকবে। দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট শিল্প, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সাথে জাইকার প্রতিনিধি দল একাধিকবার বৈঠক করেছেন।

বিষয়টি অতীব গুরুত্ব বহন করে বিধায় এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ৯ সচিব সহ জনপ্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ক্ষমতাধর কর্তা ব্যক্তিরা ৮ আগষ্ট মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বিশেষ ইকোনোমিক জোন পরিদর্শক করেন। ওই সময় মাতারবাড়ি, মহেশখালি নাগরিক কল্যাণ পরিষদ, মাতারবাড়ি ধলঘাটার বিভিন্ন সমস্যা ও নানা স্তরের ক্ষতিপূরনের টাকা সময়োপযোগী করে মূল্য নির্ধারন করে টাকা পরিশোধের দাবী সম্বলিত মূখ্য সচিবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এতে জন গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রিক বিষয়াদি তুলে ধরেছেন নাগরিক কল্যাণ পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

এছাড়া স্থানীয় জন প্রতিনিধি, ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথেও আলাপ করেন মূখ্য সচিবের নেতৃত্বাধীন ৯ সদস্যের সচিবদের টীম। মূখ্য সচিব বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিধায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি লিখিত প্রস্তাব জমা দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে, তার কার্যলয় থেকে ২০ আগষ্ট ১০টি নির্দেশনা দিয়ে চিঠি ইস্যু করা হয়। চিঠিতে ভূমি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে বলা হয়, মাতারবাড়িতে প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ করে যে মূল্য নির্ধারণ করা হয় তা বহু বছর আগের দর। এতে ক্ষতিগ্রস্তরা প্রকৃত ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে চিঠিতে নির্দেশক্রমে বলা হয়।

বর্তমান বাজার অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে আরো বলা হয়েছে, বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পে শ্রমিক ও কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে এলাকার লোকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ সৃষ্টি করতেও বলা হয়েছে। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় কোমেনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও অরক্ষিত বেড়ীবাঁধ দ্রুত নির্মাণের জন্য  দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এছাড়া মাতারবাড়ির সঙ্গে পাশের ইউনিয়নের যোগাযোগ করতে পাশ্ববর্তী অঞ্চলের সড়ক সংস্কার ও ৭০ পোল্ডারে অবস্থিত বেড়ীবাঁধ নির্মাণ করতে পানি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতেও চিঠিতে বলা হয়।


শেয়ার করুন