মহেশখালীতে জমে উঠেছে পশুরহাট

Exif_JPEG_420

হারুনর রশিদ, মহেশখালী:
মহেশখালী উপজেলার বাজার গুলোতে জমে উঠেছে কোরবানী পশু বিক্রয়ের হাট। বাজার গুলোতে দেশীয় জাতের গরু উঠেছে প্রচুর পরিমাণ। পাশর্^বর্তীদেশ ভারত ও মায়ানমারের পশুর চেয়ে দেশীয় জাতের গরুর চাহিদা বেশী। ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর দিকে ক্রেতারা একটু ঝুকছেন বেশী। যতই কোরবানীর দিন ঘনিয়ে আসছে ততই পশু বিক্রি বাড়ছে বাজারে। আবার অনেকে অতিরিক্ত দামের কারণে পশু ক্রয় করতে সাহস পাচ্ছে না।
সোমবার মহেশখালী পৌরসভা গোরকঘাট বাজারের মাঠে দেশীয় জাতের গরুর বিক্রয়ের হাট বসেছে। এই বাজার টিতে শাপলাপুর ইউনিয়ন থেকে গরু বিক্রি করতে আসা আবু তাহের বলেন, উপজেলার পৌরসভাস্থ গোরঘাটা বাজারে গরু ক্রয়-বিক্রয় করা অত্যন্ত নিরাপদ তাই আমি অত্র বাজারটিতে প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও গরু বিক্রি করতে আসছি। তিনি খুশি মনে আরো বলেন এই বাজারটিতে গরু বিক্রয় করে লাভবান হব।
মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্টিত হবে। এ উপলক্ষে উপজেলা ও পৌরসভার স্থায়ী ও অস্থায়ী ছোট-বড় ১৫টি বাজারে চালু হয়েছে কোরবানী পশুর হাট। বিশেষ করে উপজেলার বড় কোরবানী পশুর হাট বড় মহেশখালী ইউনিয়নের নতুন বাজার, কালামার ছাড়া বাজার, মাতারবাড়ীর নতুন বাজার, শাপলাপুর বাজার এবং পৌরসভার গোরকঘাটা বাজারসহ অন্তত ১০টি কোরবানী পশুর হাটে পশু বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজার গুলোতে জমে উঠেছে গরু-ছাগল।
উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের নতুন বাজারে গরু কিনতে আসা ক্রেতা এনজিও কর্মী খোরশেদ আলম বলেন, বড় সাইজের একটি গরু কিনে একজনের পক্ষে কোরবানি দেওয়া প্রায় অসম্ভব। আমি নিজেও ছোট গরু নিয়ে কোরবানি দেব। কারন ৪০-৪৫ হাজার টাকায় দেশিয় জাতের ভাল মানের গরু পাওয়া যাচ্ছে।
মহেশখালী থানার থানার ওসি মোহাম্মদ সাইকুল আহম্মেদ ভুইয়া বলেন, উপজেলার কোরবানীর পশুর বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও জাল নোটের অপতৎপরতা ঠেকাতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে সার্বক্ষনিক কাজ করছে ।


শেয়ার করুন