মঙ্গল শোভাযাত্রায় বান্দরবানে বৈসাবি উৎসব শুরু হয়েছে

 রিপন চক্র বত্তী, বান্দরবান:

 সোমবার সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে  বান্দরবান পাবত্য জেলায় শুরু হয়েছে মারমা সম্প্রদায়ের বর্ষবরণ উৎসব সাংগ্রাই। সকালে বান্দরবান পুরান বাজার মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য এক  শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফের পুরান বাজার মাঠে এসে শেষ হয়। এতে আদিবাসীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী সাজ-পোশাক ও ব্যানার, ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড নিয়ে অংশগ্রহণ করে।অনুষ্ঠানে পাবত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী, জোন কমান্ডার নকিব আহম্মেদ চৌধুরীসহ আদিবাসী নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। পরে অনুষ্ঠানস্থলে গুরু ভক্তি (প্রবীণ ব্যক্তি) পুজা অনুষ্ঠিত হয়।এদিকে, আদিবাসী তংচঙ্গ্যা সম্প্রদায় জেলার রেইছা সিনিয়র পাড়ায় ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ উৎসব পালন করে। এ সময় তাদের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া ‘ঘিলাখেলা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শত শত আদিবাসী এ খেলায় অংশ নেয়।বান্দরবান পাবত্য জেলায় সংখ্যাঘরিষ্ঠ আদিবাসী মারমা, রাঙ্গামাটি পাবত্য জেলায় চাকমা ও খাগড়াছড়ি পাবত্য জেলায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বসবাস। চাকমা স¯প্রদায়ের লোকেরা এই উৎসবকে বিঝু, মারমারা সাংগ্রাই এবং ত্রিপুরারা বৈসু বা বৈসুক বলে। ত্রিপুরাদের বৈসুর- বৈ, মারমাদের সাংগ্রাইয়ের- সা,  আর চাকমাদের বিঝুর- বি এই তিনে মিলেই ‘বৈসাবি।’এ বৈসাবি উৎসবকে ঘিরে পাবত্য জেলাগুলোতে শুরু হয় আনন্দের বন্যা। দেশের অন্যতম পযটন কেন্দ্র এ জেলা শহরগুলোয় এই উৎসবের মধ্য দিয়েই পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানায় আদিবাসীরা। এই উৎসবকে ঘিরে বান্দরবানে বেড়েছে পযটক। তাদের আগমনে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আমির হোসেন জানান, উৎসব ঘিরে জেলার  সবগুলো উৎসবস্থলে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তাবাহিনী সতক অবস্থায় রয়েছে।


শেয়ার করুন