গ্রন্থালোক

ভাষা আন্দোলনে কক্সবাজার : ইতিহাসের দূরবীন

kalamআসোয়াদ লোদি :

ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে জাতির সংজ্ঞা নিরূপণে ভাষার গুরুত্বের কথা বিবেচনা করা হত । সম্মিলিত জার্মানি, সম্মিলিত ইটালি ও বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয় হয়েছে ভাষার উপর ভিত্তি করে। পৃথিবীর সব ভাষারই সমান মর্যাদা। কোনো ভাষাকে অবজ্ঞা করার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায় ভাষা ও জাতিগত বৈষম্য ।
মাতৃভাষার মাধ্যমে মানুষের প্রাথমিক পরিচয় প্রকাশ পায় । ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ও ব্যক্তিমানসের পরিচয় এবং একটি জাতির সাংস্কৃতিক স্বরূপের নিদর্শন হচ্ছে ভাষা। পৃথিবীর  ইতিহাসে একমাত্র বাঙালিরাই ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়েছে । সেই হিসেবে বাঙালি মানে এক গর্বিত জাতির নাম । কিন্তু সেই অধিকার খুব সহজে অর্জিত হয়নি । কারণ পাকিস্তানী কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠী নিজেদের ভাষার আধিপত্য রক্ষা ও সম্প্রসারণ করার মানসিকতায় বাঙালির ভাষার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল । এক সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট বলেছিলেন- “আমাদের একটিই পতাকা থাকতে হবে, আমাদের ভাষাও থাকতে হবে একটি”। ঠিক একই ধরণের আস্ফালন ধ্বনিত হয়েছিল পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর কণ্ঠেও। ঢাকার কার্জন হলের বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন-“উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা”। তাৎক্ষণিক তাঁর কথার প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে ছাত্ররা যে আন্দোলনের সূচনা করেছিল, সে প্রবাহ তৎকালীন মহকুমা শহর কক্সবাজারে এসে লেগেছিল । ফলে কক্সবাজারে সূচিত হয়েছিল ভাষা আন্দোলনের এক উজ্জ্বল ইতিহাস|

তরুণ গবেষক কালাম আজাদ কর্তৃক রচিত ‘ভাষা আন্দোলনে কক্সবাজার’ গ্রন্থটি সেই ইতিহাসের এক অনন্য সংকলন বলে বিবেচিত হতে পারে । গ্রন্থের ভূমিকা থেকে জানা যায় তৎকালীন কক্সবাজারের যোগাযোগ ব্যবস্থার এক করুণ চিত্র । বিশেষ করে স্থানীয়ভাবে কোন সংবাদপত্র প্রকাশিত না হওয়াতে ভাষা আন্দোলনের সঠিক তথ্য-উপাথ্য সংগ্রহ বেশ কঠিন হয়ে পড়ে । তাছাড়া তৎকালীন সময়ে কোন কলেজ গড়ে না উঠাতে কলেজ পর্যায়ে আন্দোলনের ইতিহাসই সৃষ্টি হয়নি । তথ্য-উপাথ্য অপ্রতুল হলে ইতিহাস রচনায় কিংবদন্তীর উপর নির্ভর করতে হয় । অর্থাৎ মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত ইতিহাস । সেক্ষেত্রে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শী পর্যায়ে সাক্ষাৎকার গ্রহণ ইতিহাস জানার একটি স্বীকৃত মাধ্যম। লেখক অনন্যোপায় হয়ে সে পথে অগ্রসর হয়েছেন সতর্কতার সাথে ।

একটি জাতির মাতৃভাষা কী, কেন এই গুরুত্ব উপলব্ধি করে কবি আবদুল হাকিম, নসরুল্লাহ খোন্দকার, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ও মাইকেল মধুসূদন দত্তের কবিতা থেকে উদ্ধৃতি, ইতিহাস পাঠের সাথে সাথে পাঠককে কবিতার আস্বাদও এনে দেয় । লেখক উল্লেখ করেছেন, প্রকৃত অর্থে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ১৭৭৮ সালে । বৃটিশ লেখক ন্যাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড ফার্সির পরিবর্তে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার সুপারিশ করেছিলেন তৎকালীন বৃটিশ কোম্পানি সরকারের কাছে । ভাষা  আন্দোলনের ইতিহাসে এই তথ্যটি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে ।
তাছাড়া প্রখ্যাত লেখক সত্যেন সেনের ‘বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে মুসলমানদের ভূমিকা’ গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের দাবী, শান্তি নিকেতনে রবীন্দ্রনাথ আয়োজিত আলোচনা সভায় ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহর বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরে প্রবন্ধ পাঠ, ১৯২১ সালে খেলাফত আন্দোলনের সময় সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর বৃটিশ সরকারের কাছে বাংলার রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার পক্ষে লিখিত দাবী, আবুল ফজলের ‘মাতৃভাষা ও বাঙালি মুসলমান’ প্রবন্ধ থেকে উধৃতি, নুরুননেছা খাতুন বিদ্যাবিনোদিনী, কমরেড মোজাফফর আহমদ, প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আব্দুর রশিদ সিদ্দিকী, আবদুল হক চৌধুরী, মনিরুজ্জামান এছলামাবাদী, আবদুল মজিদ বি এ, হামেদ আলী, মুহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী, সৈয়দ এমদাদ আলী, মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, খাদেমাল এসলাম, মোহাম্মদ গোলাম মওলা প্রভৃতি লেখকের উধৃতির সমাবেশ এই গ্রন্থ রচনায় কালাম আজাদের কঠোর পরিশ্রমের সাক্ষ্য দেয় ।
১৯৪৭সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শহীদ সাবের ও সাইমুম শমসের সম্পাদিত ‘জাগরণ’ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদকীয়তে শহীদ সাবের বাংলা ভাষার স্বীকৃতি দানের বিষয়টি উল্লেখ করে সম্পাদকীয় লিখেছেন বলে উল্লেখ করেছেন লেখক। কিন্তু সম্পাদকীয় থেকে কিছু উধৃতি দিলে জানা যেত বাংলা ভাষা সম্পর্কে তাদের চিন্তা-চেতনার প্রকৃতি কেমন ছিল । এই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া লেখকের উচিৎ হয়নি বলে মনে করি ।
ভাষা আন্দোলনের দুটি পর্যায়ের প্রথম পর্যায়টির সময়কাল ছিল ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর -১৯৫১ সাল পর্যন্ত । এই সময়ে কক্সবাজারে ভাষা আন্দোলনের স্বপক্ষে কোন কমিটির উল্লেখ পাওয়া যায় না । বিষয়টা রীতিমত বিস্ময়কর । আন্দোলনে জনমত গঠনের জন্য কমিটির ভূমিকা অনস্বীকার্য । তৎকালীন কক্সবাজারে কোন কলেজ স্থাপিত না হওয়ার কারণে কলেজ পর্যায়ে আন্দোলন সংঘটিত না হওয়াটা যৌক্তিক । তবে সেই ঘাটতি পূরণে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন স্কুলগুলো । স্কুল পর্যায়ে রাষ্ট্রভাষার দাবীতে আন্দোলন ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায় বলে বিবেচিত হতে পারে ।
মূলত ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ আন্দোলনকে দু’টি পর্বে বিভক্ত করা যায় । প্রথম পর্বের সময়কাল ছিল ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর সাল থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত । ১৯৫২ সালকে ভাষা আন্দোলনের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত পর্যায় বলা যায় । প্রথম পর্বে রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত হলেও এই পর্বে কক্সবাজার শহর ও অন্যান্য থানা পর্যায়ের বিদ্যালয় এবং রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের আন্দোলন সম্পৃক্ত ইতিহাসের ঘাটতি চোখে পড়ে । রাজনৈতিক বৈঠকে ভাষা আন্দোলন নিয়ে তাদের আলাপ-আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধতা একটি ঐতিহাসিক শূন্যতার জন্ম দিয়েছে । এই ঘাটতি একজন ইতিহাস লেখকের জন্য যেমন পীড়াদায়ক, তেমনি পাঠকের জন্যও ।

ভাষা আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায়টি শুরু হয় ১৯৫২ সালে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গের মধ্য দিয়ে । ঢাকায় পুলিশের গুলিতে ছাত্র নিহত হলে সারা দেশব্যাপী এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় । কক্সবাজারেও বিভিন্ন স্কুলের ছাত্ররা প্রতিবাদে ফেটে পড়ে । এই পর্বে আমরা একটি গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের সন্ধান পাই কালাম আজাদের লেখনিতে । কক্সবাজার, ঈদগাও, চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, রামু, উখিয়া, টেকনাফ প্রভৃতি এলাকা ভিত্তিক ইতিহাস তুলে ধরে ইতিহাস রচনায় স্বীয় দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন ।

ভাষা আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি হচ্ছে শহীদ মিনার । বাঙালির রক্ত দিয়ে গড়া এই মিনার । একটি অর্জন । তাই ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে শহীদ মিনার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছে । ‘শহীদ মিনারের কথা’ নামে এই গ্রন্থে শহীদ মিনারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সংযোজন করে লেখক যেমন তার কৌশলী মনোবৃত্তির পরিচয় দিয়েছেন, তেমনি গ্রন্থও রসদ ভান্ডারে সমৃদ্ধ হয়েছে । তবে কক্সবাজারের শহীদ মিনারের ইতিহাস প্রসঙ্গে লেখক উল্লেখ করেছেন-“১৮জানুয়ারি ১৯৭২ সালে প্রধান শিক্ষক আবদুল কাদেরের সভাপতিত্বে শিক্ষক পরিষদ এবং পরবর্তীতে ছাত্রদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয় । সভায় সর্বসম্মতিক্রমে কক্সবাজার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র এবং প্রধান শিক্ষক আবদুল কাদেরকে প্রধান পৃষ্ঠপোষক  ও মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামকে আহবায়ক করে ৯৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি ‘শহীদ মিনার ও স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণ কমিটি গঠন করা হয়”।

কিন্তু আবদুল কাদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছিলেন ১৯৮০ সালে । তার পূর্বে প্রধান শিক্ষক ছিলেন কামাল উদ্দিন তালুকদার । তালুকদার সাহেব বদলি হয়ে গেলে সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুল কাদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পান । তবে এর পূর্বে আবদুল কাদের বহুবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন । সুতরাং ১৯৭২ সালে আবদুল কাদেরকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করা তথ্যগত ভুল বলে মনে হয় ।

গ্রন্থের শেষে ‘ভাষাসংগ্রামীদের কথা’ অংশে এডভোকেট সুরেশ সেন, জ্যোতিশ্বর চক্রবর্তী, আবদুল হামিদ খান, জ্ঞানেন্দ্র বড়ুয়া, ফরিদ আহমদ, সাইমুম শমসের, মাহফিল আরা আজমত, শহীদ সাবের, শামসুল হুদা ছিদ্দিকী, বাদশাহ মিয়া চৌধুরী, ওবাইদুল হক, এস. কে. শামসুল হুদা, ছালামতুল্লাহ, ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী, এস.এম.এম. রফিক উল্লাহ, মাহমুদুল করিম চৌধুরী, নুর আহমদ, মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন আহমদ, নজির আহমদ, এম.এ. শুক্কুর, এ.কে.এম. আহমদ হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মোশতাক আহমদ, আমিরুল কবির চৌধুরী, নূরুল হুদা চৌধুরী, মন্মথ বড়ুয়া, বদিউল আলম, নিখিলেশ্বর চক্রবর্তী, মথুরা বিকাশ পাল, নূরুল আজিম চৌধুরী প্রমুখের জীবনী সংযোজন কক্সবাজারের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক ধরে নিলেও তাদের অনেকের স্বাধীনতার আন্দোলনে বিতর্কিত ভূমিকা রয়েছে । তবে সেটি অন্য ইতিহাস । গবেষক কালাম আজাদ তার গ্রন্থে সেটি স্বীকারও করেছেন । এতে গ্রন্থ রচনায় তার একটি স্বচ্ছ অবস্থানের পরিচয় পাওয়া যায়।

পৃথিবীর ইতিহাসে বাঙালির ভাষা আন্দোলন একটি অনন্য ও ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা । নিছক কোন বিমূর্ত ধারণা থেকে ভাষা আন্দোলনের জন্ম হয়নি । একে অস্তিত্ব রক্ষা ও আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বলা যায় । এটি একটি অঙ্গীকার মাতৃভাষা ও মাতৃভূমির প্রতি । ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে সংঘটিত ভাষা আন্দোলন যুক্তিসঙ্গত কারণেই ছিল বেশ গুরুত্ববহ । ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ দাবী নিয়ে আন্দোলনের সূচনা হলেও এর নেপথ্যে ছিল বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্বার্থ । সংস্কৃতি চর্চার বাধাহীন পরিবেশের প্রয়োজনীয়তাও ছিল এই আন্দোলনের অন্যতম রসদ । একটি দেশের রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বা অস্তিত্বের সংকট আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরি করে । শ্রেণীগত স্বার্থই আন্দোলনকে সার্বজনীন করে তুলে । এদেশের আপামর ছাত্র-জনতা বিজাতীয় ভাষার সমস্যার তাৎপর্য কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছিল । তাদের এই ভাষিক চেতনা ও রাজনৈতিক উপলব্ধির কারণে তারা জীবন বাজী রেখে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল । সদিচ্ছা ও আন্তরিকতাই ছিল তাদের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি । তেমনি সেই গৌরবগাঁথা ইতিহাসকে সংরক্ষণের দায়িত্বও আমাদের । কালাম আজাদের মধ্যে সেই সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার ঘাটতি দেখি না । তিনি কালের অতলে চাপা পড়া ইতিহাসকে পাঠকের নাকের ডগায় পৌঁছে দিয়েছেন । তাই ‘ভাষা আন্দোলনে কক্সবাজার’ গ্রন্থটিকে ইতিহাসের দূরবীন না বলে উপায় নেই ।
‘ভাষা আন্দোলনে কক্সবাজার’ প্রকাশিত হয়েছে ‘তৃতীয় চোখ’ চট্টগ্রাম থেকে । প্রকাশক আলী প্রয়াস । দৃষ্টি নন্দন প্রচ্ছদ করেছেন নির্ঝর নৈশব্দ্য। মুল্য-২০০ টাকা ।  গ্রন্থাকার, প্রকাশক ও প্রচ্ছদ শিল্পীকে তাদের কর্ম নৈপুণ্যের জন্য ধন্যবাদ দিতেই হয় ।
আসোয়াদ লোদি : কবি ও প্রাবন্ধিক। সর্বশেষ প্রকাশিত গ্রন্থ : জন্মেই কেঁদেছি ভীষণ


শেয়ার করুন