ব্রিটেন শরণার্থী নিলেও যুক্তরাষ্ট্রের অনিচ্ছা

2C0677AF00000578-3224305-image-m-15_1441562265046সিটিএন ডেস্ক:

অভিবাসীদের আশ্রয়ের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে থাকলেও এখন সে অবস্থান থেকে সরে এসেছে ব্রিটেন। অভিবাসী নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়াও। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসীদের আশ্রয় দেবার ব্যাপারে এখনো নমনীয় নয়। ১৫ হাজার সিরিয়ান শরণার্থী গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটেন। অস্ট্রিয়া ও জার্মানি এব্যাপারে উদার অবস্থান নিলে শরণার্থী সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাশাপাশি সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট বা আইএস জঙ্গিদের ওপর বিমান আক্রমণ চালাবে ব্রিটেন। আইএস জঙ্গিরা ইরাক ও সিরিয়ায় যে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে এবং এর ফলে দেশদুটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে আইএস জঙ্গিদের সংঘর্ষে হাজার হাজার মানুষ শরণার্থীতে পরিণত হচ্ছে।
গত শুক্রবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন জানিয়েছিলেন, সিরিয়ার তিন বছর বয়সী আয়লানের মৃতদেহ তুরস্কের সমুদ্র সৈকতে ভেসে থাকার বিভিন্ন ছবি তার মনকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। তাই ব্রিটেন তার নৈতিক দায়িত্ব পূরণ করবে। বিশেষ কোন অঙ্গীকার না করে ক্যামেরন তখন জানিয়েছিলেন ব্রিটেনের যতটুকু সম্ভব তা দিয়েই শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া হবে। তবে তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র তাদের আশ্রয় দিলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না। এর জন্য একটি পরিপূর্ণ সমাধানও প্রয়োজন।
এদিকে সানডে টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ওপর শরণার্থী গ্রহণের বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছিল। ব্রিটেনের ভিতরেও ক্যামেরনকে রিফিউজি বিষয়ে কিছু বলার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছিলো। গত বৃহস্পতিবার তুরস্কের সমুদ্রতীরে শিশু আইলানের মৃতদেহের ছবি ক্যামেরনের ওপর চাপ বাড়িয়ে দেয়। অবশেষে ক্যামেরন অভিবাসী কোটা বৃদ্ধির ও আইএসের ওপর হামলার সিদ্ধান্ত একসঙ্গে ঘোষণা করেন।
বিগত বছরগুলোতে বিশেষ সরকারি পরিকল্পনায় সিরিয়ার ২১৬ জন শরণার্থীকে গ্রহণ করেছিল ব্রিটেন। ফ্রান্স, জার্মানি এবং সুইডেনের মতো দেশের তুলনায় এ সংখ্যা অনেক কম।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কার্লি ফিওরিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে না শরণার্থীদের জন্যে দুয়ার খুলে দেয়া। সিবিএস’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে সন্ত্রাস সম্পর্কে আরো সচেতন হতে হবে এবং শরণার্থীর ব্যাপারে অবস্থান শিথিল করা মোটেও ঠিক হবে না। ২০১১ সালে সিরিয়ায় গোলযোগ শুরু হবার পর এ পর্যন্ত দেশটি থেকে ৪০ লাখ শরণার্থী আশেপাশের দেশে আশ্রয় নিলেও যুক্তরাষ্ট্র ১ হাজার সিরিয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। অন্তত ৭০ হাজার সিরিয় শরণার্থী এখন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে। তবে আন্তর্জাতিক বিশ্ব চায় শরণার্থীর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আরো উদার হোক। কিন্তু রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ফিওরিনা বলছেন, শরণার্থী হিসেবে কাউকে তার দেশে ঢুকতে দেয়ার আগে সাবধান হওয়া উচিত যারা আসছে তাদের মধ্যে কোনো সন্ত্রাসী রয়েছে কি না।


শেয়ার করুন