সিটিএনঃ
কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে বোনকে যৌন হয়রানি করার প্রতিবাদ করায় তার ভাইকে বখাটেরা বেধড়ক মারধর করেছে। ৩১ মে ঘটনার পরপরই মারধরের শিকার আবদু মোনাফ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং সদর থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু ঘটনার ১১ দিন পরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় মোনাফ ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেন। তবে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ মামলা নেয় এবং অভিযান চালিয়ে দুই বখাটেকে গ্রেফতার করে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন বখাটে ফিল্মি স্টাইলে বোরকা পরা এক তরুণীকে (১৪) তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তাকে রক্ষায় এগিয়ে যাওয়া মোনাফকে বখাটেরা বেধড়ক মারধর করে। ৩১ মে বিকালে খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেড়িবাঁধে ঘটনাটি ঘটে। তবে শনিবার রাতে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নড়েচড়ে বসেন। শনিবার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে তিনজনের মধ্যে অভিযুক্ত দুই বখাটেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঝিনুক বিল্ডিংয়ের বাসিন্দা মোনাফ। তার বাবার নাম হাবিব উল্লাহ।
ভুক্তভোগী মোনাফ বলেন, শহরের সমিতিপাড়ার মামাবাড়িতে আমার বোন বেড়াতে গিয়েছিল। বাড়ি ফেরার পথে তাকে খুরুশকুল মনুপাড়ার আরমান, জামাল ও রায়হানসহ ৬-৭ জন বখাটে যৌন হয়রানি করার চেষ্টা করে। বখাটেরা বারবার তার পথ আটকায় এবং তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি কিছুটা দূর থেকে এসব দেখে দৌড়ে যাই। কেন এমন করা হচ্ছে-জিজ্ঞাসা করার সঙ্গে সঙ্গে তারা আমার বোনকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। তখন আমি তাকে জড়িয়ে ধরে রক্ষা করি। কেন তার গায়ে হাত দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তারা আমাকেও মারধর করে।
মোনাফ আরও বলেন, ঘটনার পরপরই সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি এবং এ বিষয়ে সদর থানায় অভিযোগ করেছি। কিন্তু ঘটনার ১১ দিন পরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বখাটেরাও আমাকে উপর্যুপরি হুমকি দিয়ে আসছে। এ কারণে আমি শনিবার রাতে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম উদ্দিন বলেন, সেদিনের পুরো ঘটনা গোপন করে ভুক্তভোগী যুবক শুধু মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগ দেয়। এ কারণে পুলিশ আসল ঘটনা জানতে পারেনি। শনিবার ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির সঙ্গে ওই অভিযোগেরও কোনো মিল নেই। তিনি আরও বলেন, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি দেখে খুরুশকুল মনুপাড়া এলাকার নুরুল আলমের ছেলে রায়হান (২০) ও কুলিয়াপাড়া এলাকার নুরুন্নবীর ছেলে আরমানকে (২০) গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়েটির মা মামলা করেছেন।