বৃহস্পতিবার ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালী’ উদ্বোধন

ppp
ক্যাপ্টেন হীরাম কক্সের আবিস্কৃত ককস বাজারের সাগর বিধৌত ” ম্যাক্সাল” দ্বীপ নামের বিবর্তনে বর্তমানে মহেশখালী দ্বীপ অবশেষে দেশের প্রথম ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড’ হিসেবে রুপ লাভ করতে যাচ্ছে। আজ ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পস্থলে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের উপস্থিতিতে প্রকল্পটির প্রাথমিক যাত্রার উদ্বোধন করবেন। তথ্য প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে দেশের অনুন্নত পিছিঢে পড়া উপকূলীয় অঞ্চল মহেশখালীকেই বেঁছে নিয়ে ডিজিটাল দ্বীপ প্রকল্পের অাওতায় উচ্চগতির ইন্টারনেট এবং তথ্যপ্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমাধানের ব্যবহার নিশ্চিত করাই এ প্রকল্পের মূল উদ্দ্যেশ্য। প্রায় ৩৬২ দশমিক ১৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ প্রকল্প পূর্ণাঙ্গ রুপে বাস্তবায়িত হলে মহেশখালী দ্বীপের সাড়ে ৩ লাখ বাসিন্দা অাধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সেবা পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
কোরিয়ান টেলিকম (কেটি) প্রতিষ্ঠানের কারিগরি সহায়তায় প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
ইতিমধ্যে প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ইন্টানেট সংযোগ চালু করা হয়েছে। মহেশখালী উপজেলাকে ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড’ ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতায় বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে উদ্বোধনের প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য মহেশখালী পৌর এলাকার রাখাইন পাড়া সংলগ্ন পান বাজার মাঠে ভিডিও কনফারেন্সের ডিজিটাল মঞ্চ তৈরী করা হয়েছে। সকাল ১০ টায় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী জুনাইদ আহমদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। প্রায় ৪ হাজারের অধিক দর্শক সমাগমের মাধ্যমে এ ডিজিটাল আইল্যান্ড উদ্বোধন কালে দেশী বিদেশী শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ রাজনৈতিক নেতা প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। মহেশখালীতে বসবাসরত উপজাতীয়দের আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টান উপভোগ করবেন দেশী বিদেশী রাষ্ট্রীয় অতিথিরা।
সুত্র জানান, প্রায় ২২ কোটি ৩৫ লাখ ৮১ হাজার টাকা ব্যয় সাপেক্ষ এ প্রকল্পের কাজ আগামী ২০১৮ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হবে।
প্রাথমিক ভাবে মহেশখালী পৌরসভা এবং উপজেলার ছোটমহেশখালী ও বড়মহেশখালী ইউনিয়নের ২৫টি প্রতিষ্ঠানকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। মহেশখালী উপজেলা নির্াহী কর্মকর্তা মো: আবুল কালাম জানান, প্রকল্পের আওতায় সম্প্রতি উপজেলার একটি পৌরসভা ও দুটি ইউনিয়নে প্রায় ১৯ কিলোমিটার অপটিকাল ফাইবার লাইন টানা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মাদ্রাসা, চারটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিক, চারটি সরকারি দপ্তরসহ ওই ২৫টি ভবনে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে মহেশখালীর মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ উচ্চগতির ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তি সুবিধা পাবে। তাদের শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, তথ্য ও জ্ঞানে প্রবেশাধিকার বাড়বে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ‘শিক্ষামূলক কর্মসূচি’ চালু ও শিক্ষার্থীদের এমআইএস ডেটাবেইস তৈরি, কৃষকদের জন্য ই-বাণিজ্য সুবিধা, তথ্যপ্রযুক্তিতে শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষ করতে প্রশিক্ষণ ইত্যাদি কার্যক্রম চালু করা হবে।
Share this:


শেয়ার করুন