বিয়ের আগের রাতে মেয়েকে খুন করলেন মা!

2016_03_14_11_46_43_0a6N9q1qq6ZLNRgjsG8L7garSy5est_512xautoআর্ন্তজাতিক ডেস্কবিয়ে হচ্ছে ২০ বছরের তরুণী উর্বশীর (ছদ্মনাম)। বাড়িভর্তি অতিথি। ধীর লয়ে বাজছে সানাই। মেহেদি দিয়ে সাজানো হচ্ছে কনের দু হাত। বিয়েকে উপলক্ষ করে চারদিকে কতই না আনন্দ! এর মধ্যেই হঠাৎ শোনা গেল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে কনে। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো। কিন্তু পরীক্ষার পর চিকিৎসক জানালেন, হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছে সে। সন্দেহ হওয়ায় তারা পুলিশে খবর দিলেন। শেষে জানা গেল আসল ঘটনা। বিয়ের মাত্র একদিন আগে মেয়েকে নিজ হাতে হত্যা করেছেন তারই মা।

শনিবার রাতে ভারতের রাজধানী দিল্লির সিলামপুর এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে।

ধরা পড়ার পর ঘাতক মা পুলিশকে বলেছেন, বিয়ের আগের দিন রাতে তিনি জরুরি প্রয়োজনে বাইরে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে মেয়েকে তার ঘরে এক যুবকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। ওই যুবক তাদেরই বাড়িতে ভাড়া থাকে। উর্বশীর মাকে দেখে যুবকটি পালিয়ে যায়। কিন্তু উর্বশী কোথায় যাবে! তার ওপর হামলে পড়েন রাগে দিশেহারা মা। তিনি উর্বশীর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে ধরেন। এতে দমবন্ধ হয়ে মারা যায় সে।

পরে তিনি বিয়েবাড়ির লোকজনকে বলেন তার মেয়ে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। তিনি ও তার ছেলে মিলে উর্বশীকে দিল্লির লোক নায়ক হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তৃব্যরত চিকিৎসকরা জানান তাদের মেয়েটি হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছে। সন্দেহ হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশের কাছে আসল ঘটনা খুলে বলেন উর্বশীর মা। এ ঘটনায় উর্বশীর মা ও ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

নিহত উর্বশীর পরিবার দিল্লির নিকটস্থ মিরুতের বাসিন্দা। কয়েক বছর আগে তার বাবা মারা যান। এরপর সংসারের হাল ধরেন তার ভাই। সে স্থানীয় এক কারখানায় ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করত। উর্বশীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল গাজিয়াবাদের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। রোববার বিয়ের পিড়িতে বসার কথা ছিল মেয়েটির।


শেয়ার করুন