বিশ্বে অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশু সবচেয়ে বেশি ভারতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

দিল্লি: বিশ্বে অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুর প্রায় অর্ধেকই রয়েছে ভারতে। গত এক দশকে ভারতে নবজাতক শিশু মৃত্যুর হার এবং পাঁচ বছর কমবয়সী শিশু মৃত্যুর হার কমলেও শিশুদের অপুষ্টিতে আক্রান্ত হওয়া কমেনি।

আসোসিয়টেড চেম্বারস অফ কমার্স ইন্ডাস্ট্রি ইন ইন্ডিয়া (আসোচেম) এবং ইওয়াই ইন্ডিয়ার যৌথ গবেষণা এ তথ্য পাওয়া গেছে।

‘শুন্যস্থান পূরণ: সর্বোত্তম পুষ্টির জন্য কৃষির সর্বোচ্চ সম্ভাব্যতা নিশ্চিত করা’ শীর্ষক ওই গবেষণায় বলা হয়, ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ ৪০ শতাংশ ভারতীয় শিশু অপুষ্ট ছিল। ভারতে পাঁচ বছর কমবয়সী শিশুদের ৩৭ শতাংশ ওজন-স্বল্পতা, ৩৯ শতাংশ ধীর শারীরিক বিকাশ এবং ৮ শতাংশ গুরুতর পুষ্টিহীনতায় ভুগছে।

শারীরিক বিকাশ কমে যাওয়া শিশুর সংখ্যা ২০০৫-২০০৬ এর তুলনায় (৪৮ শতাংশ) ২০১৫-১৬ সালে কমলেও সামগ্রিক পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। শহরগুলোর (২৯ শতাংশ) তুলনায় গ্রামাঞ্চলে (৩৮ শতাংশ) শিশুদের ওজন-স্বল্পতার প্রবণতা বেশী।

৬ থেকে ২৩ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করে। সারা দেশে যে বৈষম্য তার সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে শিশুদের উপর।

১-৫ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে, ঝাড়খন্ডে ৪২ শতাংশ, বিহারে ৩৭ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৩৬ শতাংশ এবং উত্তরপ্রদেশে ৩৪.১ শতাংশ এবং মণিপুরের ১৪.১ শতাংশ শিশু ওজন-স্বল্পতায় ভুগছে।

শারীরিক বিকাশ কমার হার সবেচেয়ে বেশী উত্তরপ্রদেশে (৫০.৪ শতাংশ) এবং সবচেয়ে কম কেরালায় ১৯.৪ শতাংশ। গুরুতর পুষ্টিহীনতায় ভুগছে অরুণাচল প্রদেশে সর্বোচ্চ ১৯ শতাংশ শিশু এবং সর্বনিম্ন সিকিমে ৫ শতাংশ।

অন্যদিকে মাত্রাতিরিক্ত ওজনের লোকসংখ্যাও ভারতে বেশী। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর ভারতের স্থান। ২০০৫ সাল থেকে ২০১৫ সালে মাত্রাতিরিক্ত ওজনের লোকসংখ্যা ৯ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৯ শতাংশে দাঁড়ায়।


শেয়ার করুন