বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার দু’জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, ১৫ জনের যাবজ্জীবন


ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়া বহুল আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় দু’জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তারা হলেন- রাজন ও শাকিল। একই সাথে আদালত ১৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও চারজনকে খালাস দিয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে আজ বিচারপতি মো: রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

গত ১৬ মে বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত হয়।

২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত পুরনো ঢাকার দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের এক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার ডেথরেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা।

এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা টিপু, রাজন তালুকদার এবং মীর মো: নূরে আলম লিমন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- এএইচএম কিবরিয়া, ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল- আমিন, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, মোশাররফ হোসেন ও কামরুল হাসান। তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রলীগ ক্যাডাররা নির্মমভাবে খুন করে দর্জি দোকানী বিশ্বজিৎ দাসকে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দলবেধে নিরীহ পথাচারী বিশ্বজিৎকে নির্মমভাবে কুপিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ওই দৃশ্য তখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়। এ হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ মার্চ ছাত্রলীগের ২১ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই ২১ আসামির মধ্যে আটজন কারাগারে এবং বাকিরা পলাতক রয়েছেন।


শেয়ার করুন