বিশ্বকে কাঁদাল হাড্ডিসার শিশু!

1-Yemeni-child20160913041835_1
এই শিশুটির ছবি মধ্যপ্রাচ্যর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিটি এতই হৃদয় বিদারক যে হাজার হাজার মানুষ অশ্রু বিসর্জন দিয়েছে ছবিটি দেখে। নিরাপরাধ নিস্পাপ এক শিশু সামান্য খাবারের অভাবে বিছানায় ছটফট করছে আর তার পাশে বসে আছে তার অসহায় মা।

ইয়েমেনে শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে যুদ্ধ চলছে অনেক দিন ধরে। এই যুদ্ধের নির্মমতার শিকার হচ্ছে হাজার হাজার নিরাপরাধ মানুষ। বড়রা ক্ষুধার যন্ত্রণা সহ্য করতে পারলেও শিশুরা পারছে না। খাবার ও পুষ্টির অভাবে মারা যাচ্ছে শত শত শিশু। খাবার না পেলে হয়তো ছবির এই শিশুটিও কিছুদিন পর মারা যাবে।

মায়ের পাশে বসে আছে শিশুটি। যুদ্ধে তাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। বাঁচার জন্য হাসপাতালে এসে আশ্রয় নিয়েছে তারা।

সম্প্রতি ইয়েমেনের হুদায়দাহ শহরের এক হাসপাতালের এই শিশুর ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, খাবারের অভাবে মৃতপ্রায় এক শিশু বিছানায় ছটফট করছে। আর তারই পাশে বসে আসে তার মা। তবে শিশুটির বাড়ি ওই শহরে নয়। তাদের বাড়ি টুহায়াত নামের আরেক শহরে। যুদ্ধে তাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। বাঁচার জন্য হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছে তারা।

সম্প্রতি ছবিটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও উত্থাপন করা হয়েছিল। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা দুই দলকেই যুদ্ধের নিয়ম মেনে বেসামরিক মানুষের উপর হামলা না চালানোর অনুরোধ করেছেন।

বাড়িতে মায়ের কোলে শিশুটি। একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী এই ছবিটি তার ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন।

গত সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। সে বিবৃতিতে বলা হয়, অতি সত্তর যদি শান্তি চুক্তি করা না হয় তবে আরও বড় মানবিক বিপর্যয় ঘটবে। কর্মকর্তারা ইয়েমেনের মহাসচিব ইসমাইল ওউলদ শেখ আহমেদের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। দুই দলের সঙ্গে আলোচনা করে কিভাবে এক এই পরিস্তিতি থেকে মুক্ত হওয়া যায় তা নিয়ে কাজ করতেও তাগিদ দেন কর্মকর্তারা।

২২ মার্চ ছবিটি তোলা। ছবির শিশুটির নাম উদায় ফয়সাল। ইয়েমেনের সানার আল-সাবেন হাসপাতালে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে সে।

এদিকে জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম আশঙ্কা প্রকাশ করছে, প্রায় সাত মিলিয়ন মানুষ চরম খাদ্য ঝুঁকিতে আছে। যা সারা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার চার ভাগের এক ভাগ। সংখ্যাটি গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আরও বেড়ে গেছে।

এদিকে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বলছে খাদ্য ঝুঁকি থাকা মানুষের পরিমান গত দুই বছরের প্রায় ১৫ ভাগ বেড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যে আরো সাত মিলিয়ন মানুষ খাদ্য ঝুঁকিতে পড়বে


শেয়ার করুন