রোহিঙ্গা নির্যাতনের ভিডিও

বিচারের মুখোমুখি হচ্ছে অভিযুক্তরা, কয়েকজন পুলিশ আটক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

নাইপেদো: মায়ানামারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্মম নির্যাতনের একটি ভিডিও চিত্র তদন্ত করতে নেমে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে প্রথমবারের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়া রোহিঙ্গা নির্যাতনের ওই ভিডিওটি আমলে নিয়ে তা তদন্তের ঘোষণা দেয় দেশটির সরকার। ভিডিওটি করেছেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা।

এক বিবৃতিতে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভিডিওর এই ঘটনাটি ঘটেছে গত বছরের নভেম্বরে রাখাইন রাজ্যে।

এতে বলা হয়, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। জড়িত অন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যাপারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে বলে এতে জানানো হয়।

পুলিশের এক কর্মকর্তার ধারণ করা ওই ভিডিওতে দেখা যায়, গত ৫ নভেম্বর কোটানকাউক গ্রামে রোহিঙ্গাদের মারধর করছে পুলিশ। আজ এত দিন পর এ বিষয়ে তদন্তে নেমে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করল দেশটির কর্তৃপক্ষ।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চির কার্যালয়ের পুলিশ কনস্টেবল জ মিয়ো তাইকেসহ চার কর্মকর্তার নাম এসেছে এই তালিকায়। তারা ওই অভিযানে যুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া পুলিশ কনস্টেবল জ মিয়ো তাইকে রোহিঙ্গাদের মারধর করার দৃশ্যটি ‘সেলফি-কায়দায়’ ধারণ করেছিলেন।

ভিডিওটিতে দেখা গেছে, অভিযান চালানোর নাম করে বিজিপি সদস্যরা ছোট ছোট শিশুসহ রোহিঙ্গা মুসলমানদের মারতে মারতে একটি খোলা জায়গায় এনে জড়ো করছে। সেখানে অন্তত ৬০ জন রোহিঙ্গাকে মাথায় হাত তুলে এবং সামনে পা ছড়িয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে।

এতে আরো দেখা যায়, বিজিপি সদস্যরা আটক রোহিঙ্গাদের ইচ্ছেমতো পেটাচ্ছে এবং বুকে-মুখে ঘুষি-লাথি দিচ্ছে। আটক রোহিঙ্গাদের দেখে নিরাপরাধ বেসামরিক মানুষ মনে হলেও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করে এবং জাতিগতভাবে দুর্ব্যবহার করে।

রাখাইনে সর্বশেষ সহিংসতায় ৭ শতাধিকেরও বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হয়েছে। অন্তত ৩,০০০ ঘরবাড়ি ধ্বংস করার মাধ্যমে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। তাদের নির্যাতনে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে বাধ্য হয়েছে এবং ৫ শতাধিকেরও বেশি রোহিঙ্গা নারী বর্মি সৈন্যদের হাতে ধর্ষিত হয়েছেন।https://youtu.be/3yXwsVScJ9c


শেয়ার করুন