বিএনপির সঙ্গে কোনো সমঝোতা হবে না: প্রধানমন্ত্রী

 

নিউজ ডেস্ক

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে আর কোনো রাজনৈতিক সমঝোতা হবে না। আর ভবিষ্যতেও যেনো কেউ এ ধরনের কোনো প্রস্তাব নিয়ে না আসে।

শুক্রবার সকালে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাস ও হত্যার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আমি তাদের কাছে ফিরে যেতে আগ্রহী নই। তাই বিএনপি’র সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতার প্রস্তাব দেয়া কারো উচিত হবে না। খবর বাসসের।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি, বঙ্গবন্ধুর বর্বরোচিত হত্যাকান্ড এবং দেশকে ধ্বংসে বিশ্বাসী তাদের সঙ্গে কোন রাজনৈতিক সমঝোতা হতে পারে না। যারা আমার বাবা-মাকে হত্যা করেছে তাদের সঙ্গে কখনো সমঝোতা হতে পারে না।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের সফলতার সম্পর্কে তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার অথবা তার বাবা-মার খুনীদের কারো সঙ্গে সমঝোতার চিন্তা করা অসম্ভব। ২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে আমি বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেছি।

খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের মৃত্যুর পর তাকে ফোন করা এবং শান্তনা দেয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া তার অফিসে প্রবেশ করার অনুমতি দেননি।

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রবেশ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ যদি ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারে, তাহলে ৭ থেকে ৮ লাখ শরণার্থীকেও খাওয়াতে পারবে।

তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে শেখ রেহানার সঙ্গে কথা বলেছি। সেও একই মতামত ব্যক্ত করেছে। চীন ও ভারতের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে শেখ হাসিনা বলেন, চীন ও ভারতসহ সকল দেশের কূটনীতিকরা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন। তারা সবাই শরণার্থীদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, চীন ও ভারত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশের পাশে এগিয়ে এসেছে। তারা সব ধরনের সহযোগিতা করছে। ৫টি প্রতিবেশি দেশের সঙ্গেই মায়ানমারের বিরোধ রয়েছে।

ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে বিমানের ফ্লাইট পুনরায় চালুর সম্ভাবনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের শর্ত পূরণের পর ফ্লাইট পুনরায় চালু হবে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি বিমানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার প্রবাসী বাংলাদেশীদের কল্যাণে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, স্থপতি নভেরা আহমেদ ও হামিদুর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষণে সরকার ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নিয়েছে।

জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন। আলোচনাকালে জাতিসংঘ মহাসচিব এ দুঃসময় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন এবং বিশ্ব সংস্থার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

–আরটিএনএন


শেয়ার করুন