বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতিতে জড়িতদের ছাড় নেই: প্রধানমন্ত্রী

9ef21eed07b117b17085b6d6143708ed-untitled-1নিউজ ডেস্ক :

পাশে আছেন এবং সব সময় থাকবেন বলে হাওরবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

আজ রোববার সুনামগঞ্জের হাওর পরিস্থিতি দেখতে এসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের আগে তিনি এসব কথা বলেছেন। পরে তিনি শাল্লা উপজেলার শাহীদ আলী পাবলিক মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের হাতে ত্রাণ তুলে দেন।

শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আপনাদের পাশে সব সময় থাকব। যত দিন হাওর এলাকার মানুষের খাদ্যের প্রয়োজন হয়, সরকার সেটা দেবে। হাওরে কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না। গো-খাদ্যও দেওয়া হবে।’

সকাল ১০টা ১০ মিনিটের দিকে শেখ হাসিনা সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা সদরে পৌঁছান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ফসলহারা কৃষকদের আগামী মৌসুমে সার, বীজসহ সব ধরনের কৃষি উপকরণ বিনা মূল্যে দেওয়া হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে খোলা বাজারে চাল বিক্রয়কেন্দ্র চালু করা হবে। ভিজিএফ বাড়ানো হবে। সরকার সব ধরনের উদ্যোগ নেবে। কৃষিঋণ আদায় বন্ধ আছে। বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও) ঋণের কিস্তি আদায়ে চাপ দিচ্ছে। কিস্তি আদায় বন্ধে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হবে। তিনি হাওরের এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী হাওরের শিক্ষা বিষয়ে বলেন, হাওর এলাকার শিক্ষার মানোন্নয়নে আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে।

জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় ত্রাণ বিতরণের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, স্থানীয় সাংসদ জয়া সেনগুপ্তা প্রমুখ।

এর আগে ১৭ এপ্রিল সুনামগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকা পরিদর্শনে আসেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি সুনামগঞ্জে এক দিন অবস্থান করে ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকা পরিদর্শন এবং জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

সুনামগঞ্জে এবার ২ লাখ ২৩ হাজার ৮২ হেক্টর জমিতে বোরো ধানে আবাদ হয়েছিল। জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬১ হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ১৮৮ কৃষক পরিবার। তবে স্থানীয় কৃষক-জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, হাওরের ৯০ শতাংশ ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় তিন লাখ কৃষক পরিবার। এই কৃষকেরা হাওরের ফসল হারিয়ে এখন নিঃস্ব, দিশেহারা।


শেয়ার করুন