বাঁকখালী নদীতে নিখোঁজ এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার

রামুর বাঁকখালী নদীর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের নাপিতেরচরস্থ পয়েন্টে গোসল করতে গিয়ে-নিখোঁজ হওয়া দুই ছাত্রীর মধ্যে ৪৫ ঘন্টা পর, শারমিন আক্তারের (৯) মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার বেলা ১২টায় ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরবর্তী গর্জনিয়া ইউনিয়নের ডেঙ্গারচর তীরে, তার মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থনীয়রা। খবর পেয়ে পরিবারের স্বজনেরা পরনের জামা দেখে পরিচয় সনাক্ত করেন। এর পর ডুবুরি দল ও পুলিশ সদস্যরা মৃতদেহটি উদ্ধার করেন। এসময় হাজার হাজার উৎসুক জনতার ঢল নামে নদীর দুই তীরে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৩টায় নাপিতেরচর গ্রামের জহির আলমের মেয়ে রোজিনা আক্তার (১০) ও গর্জনিয়া ইউনিয়নের মিয়াজিরপাড়া এলাকার আবদুল আজিজের মেয়ে শারমিন আক্তার (৯) নিখোঁজ হন। রোজিনা ফাক্রিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণি এবং শারমিন নাপিতেরচর কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
বর্তমানে শারমিন আক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার হলেও রোজিনা আক্তারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় উভয় পরিবারে আহাজারি বাড়ছে। গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) কাজি আরিফ উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য: দুই শিশু নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলমের আন্তরিক প্রচেষ্টায় উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন-কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও ডুবুরি দল।
এদিকে নিখোঁজ হওয়া দুই ছাত্রীর বাবা-মাকে সান্তনা দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান-রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনি উদ্ধার তৎপরতাও তদারকি করেন।


শেয়ার করুন