বন্ধের দিনেও পৌরসভার উচ্ছেদ অভিযান

img_20170317_221220শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধের দিনেও ভাটা পড়েনি কক্সবাজার পৌরসভার উচ্ছেদ অভিযান। দ্বিতীয় দিনের অভিযান শহরের চাউল বাজারস্থ রাবেয়া কুটির দিয়ে শুরু হয়।
ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান শুক্রবার সকাল দশটার দিকে প্রায় অর্ধশত শ্রমিক নিয়ে পৌরসভার বিভিন্ন নালা-নর্দমা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযানে নামেন।
সাথে ছিলেন কাউন্সিলর আশরাফুল হুদা ছিদ্দিকী জামশেদ, ছালামত উল্লাহ বাবুল, জাবেদ মো. কায়ছার নোবেল, পৌরসচিব রাসেল চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আলম, সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল কালাম বাবুল, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনতোষ চাকমা, টিটন দাশ, নকশাকার মান্নানুল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলমসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে, ঝুকিপূর্ণ এ অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশসহ প্রশাসনের কোন লোকজন উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত মেয়র বৌদ্ধমন্দির ও বাজারঘাটা এলাকায় একটানা অভিযান চলে। এদিন বৌদ্ধমন্দির সম্মুখস্থ দিপালী ভবনের একাংশ ভাঙারা মাধ্যমে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর বহুল আলোচিত আবু সেন্টার, বৌদ্ধমন্দির সড়কের মাহতাবের মালিকানাধীন ভবন কক্সবাজার বিল্ডার্স, ছালামত উল্লাহ সড়কের সাজ্জাদ ইলেট্রিকের গোডাউন, জাফর প্লাজা, সাধু বহদ্দারের বসতবাড়ির একাংশ ও সীমানা দেওয়াল, আনোয়ারের মরিচমিল কিছু অংশ ভাঙা পর অবশিষ্টগুলো মালিক পক্ষ নিজেরা ভাঙার জিম্মা নেন। মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে নিজ উদ্যোগে আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে ভেঙে নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে ভেঙে না নিলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে এবং পৌরসভা নিজ উদ্যোগে ভেঙে ফেলবে বলে জানান মেয়র মাহবুবুর রহমান।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত অভিযান চলবে। অবৈধ স্থাপনার শেষ ঠিকানা দেখতে চাই। আমি কোন শক্তিকে পরোয় করিনা। কারণ সবার চেয়ে বড় শক্তি জনগণ। জনগণ আমার সাথেই আছে। তবে অভিযান সফলতার জন্য তিনি জনগণ ও মিডিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন।
এদিকে বহুল প্রতীক্ষিত পৌরসভার এই অভিযানে উন্নতমানের কোন যন্ত্রপাতি আনা হয়নি। বহুতল ভবনসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ব্যবহার করা হয়েছে হাতুড়ি-খন্তা। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ছিলনা পুলিশ, আনসার এমনকি কোন ধরণের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এরপরও পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমানের অভিযানকে ‘দুঃসাহসিক’ বলে আখ্যা দিয়েছে স্থানীয়রা।

 


শেয়ার করুন