ফ্রান্সে ইসলামী অনুষ্ঠানে নগ্ন নারী!

Topless-French-Femen-protesters-interrupt-Muslim-conference-with-naked-protest-400x266সিটিএন ডেস্ক:

ফ্রান্সে একটি ইসলামী অনুষ্ঠানে বিতর্কিত নারীবাদি নগ্ন সংগঠন ফিমেনের দুজন কর্মী অর্ধনগ্ন অবস্থায় মঞ্চে উঠে আপত্তিকর আচরণ করেছে। এ ঘটনা যখন ঘটে তখন দুজন ইমাম অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। এসময় স্ত্রীকে মারধর করা কতটুকু যৌক্তিক সে প্রশ্নে আলোচনা চলছিল। হঠাৎ দুজন ফিমেন নাগরিক অর্ধনগ্ন অবস্থায় মঞ্চে উঠে পড়ে এবং মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নিয়ে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। এ পর্যায়ে নিরাপত্তা কর্মীরা এসে ওই দুই অর্ধনগ্ন ফিমেন নারী কর্মীকে সরিয়ে নিয়ে যায়।
অনুষ্ঠানস্থলে অনেকেই ফিমেন কর্মীর এধরনের আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাতে থাকে। কয়েকজন মঞ্চে উঠে আসে। এদের একজন ফিমেনের এক নারীকর্মীকে লাথি মারে। তবে দুজন ইমাম অত্যন্ত সতর্কতর সঙ্গে মঞ্চের এক পাশে সরে দাঁড়ান। তাদের এসময় মানসিকভাবে খুবই আহত অবস্থায় দেখা যায়। একজন ইমাম আরেকজন ইমামকে জড়িয়ে ধরলে আরেকজন তাকে ধীরে ধীরে মঞ্চের এক পাশে সরিয়ে নেন।
দি মিরর পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, অনুষ্ঠানে তখন স্ত্রীদের মারধর করা জায়েজ কি না সে নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলছিল। বিতর্কিত ফিমেনের ওই দুই নারীকর্মী অর্ধনগ্ন অবস্থায় মঞ্চে উঠে কেউ তাদের সমর্পণে বাধ্য করতে পারবে না বলে শ্লোগান দিতে থাকেন। ইসলামে নিজের ঔদ্ধত্য বাদ দিয়ে আত্মসমর্পনের যে নজির রয়েছে তার বিরুদ্ধে তারা তাদের নগ্ন বুকে ‘নো বডি মেকস মি সাবমিট’ লেখা আলপনা দেখাতে থাকেন যার অর্থ হচ্ছে তারা কখনো সমর্পণে বিশ্বাস করেন না।ঞড়ঢ়ষবংং-ঋৎবহপয-ঋবসবহ-
ফিমেনের ওই দুই নারী কর্মীর পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। ফিমেন সারাবিশ্বে নগ্নতার সঙ্গে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের জন্যে বিতর্কিত একটি নারীবাদি সংগঠন। তাদের প্রতিবাদ জানানোর এধরনে নগ্ন ধরন সম্পর্কে অনেক নারীবাদি সংগঠনও সমালোচনা করে।


শেয়ার করুন