ফুটবলে বাংলাদেশের হতাশার বছর

football_96592সিটিএন ডেস্ক: আর দু’দিন পরই ক্যালেন্ডারের পাতায় আসবে নতুন একটি বছর। আর ২০১৫ সাল হয়ে যাবে পুরোনো। তবে, দিন পুরোনো হয়ে গেলেও কিছু স্মৃতি থাকে তা সারাজীবন মনের মধ্যে রঙিন হয়ে থাকে। আবার কিছু ব্যর্থতার স্মৃতি সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়।

২০১৫ সালটি বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য মোটেও ভালো যায়নি। বছরের শুরুটা ভালভাবে করলেও তা ধরে রাখতে পারেনি মামুনুলরা। তাই দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়েই বছরটি পার করতে হচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবলারদের।

২০১৫ সালের শুরুতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে রানার্স আপ হয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর আর উল্লেখযোগ্য কোনও অর্জন নেই। ভারতের কেরালায় চলতি সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়শীপ আসর থেকে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪-০ ও মালদ্বীপের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরেছে। তবে শেষ ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয় পায় বাংলাদেশ।

যে আন্তর্জাতিক ম্যাচ নিয়ে হাহাকার ঝরে পড়ত বাংলাদেশের ফুটবলারদের কণ্ঠে, সেই আন্তর্জাতিক ম্যাচের হাহাকারটা এ বছর দূর হয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ফুটবলের মঞ্চটা যে কত কঠিন, সেটা বাংলাদেশের ফুটবল খুব ভালোভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছে। স্বাধীনতার পর ২০১৫ সালেই বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে। দুঃখের বিষয় এই বছরই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বেশি গোল হজমের রেকর্ডটাও হয়ে গেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের।

বছরের শুরুটা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট দিয়ে। বাহরাইন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশকে নিয়ে এই টুর্নামেন্ট আয়োজিত হলেও এতে বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কা ছাড়া কেউই জাতীয় দল পাঠায়নি। সে কারণেই প্রতিযোগিতায় কেবল বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচটিই ফিফা অনুমোদিত আন্তর্জাতিক ম্যাচ হিসেবে স্বীকৃত ছিল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু; এর পাশাপাশি মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, আফগানিস্তান ও নেপালের বিপক্ষে চারটি প্রীতি ম্যাচসহ এ বছর বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে অস্ট্রেলিয়া, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান ও জর্ডানের বিপক্ষে ৭টি ম্যাচে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ।

বছরের শেষে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ মিলিয়ে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ম্যাচের সংখ্যা-১৫।

সর্বোচ্চ সংখ্যক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার আনন্দটা কিন্তু মিইয়ে যাচ্ছে একটা ব্যাপারেই-সর্বাধিক সংখ্যক গোল হজম। এ বছর এই ১৫টি ম্যাচে বাংলাদেশের জালে বল গেছে মোট ৩৪ বার। ম্যাচ প্রতি গোলের হার ২.২৬। ১৯৭৩ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামা বাংলাদেশ এক বছরে এর চেয়ে বেশি গোল আর কখনোই হজম করেনি।

১৯৭৫ সালে ৭ ম্যাচে ৩১ আর ১৯৯৩ সালে ১১ ম্যাচে ৩০ গোল হজমের রেকর্ড দুটো এবার অতিক্রম করেছেন মামুনুল-জামাল ভূঁইয়ারা।


শেয়ার করুন