ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

7a9de43c-3e79-4f1c-b765-ca21785b9a6dনুরুল আমিন হেলালী
কক্সবাজারের প্রতিটি উপজেলায় ইটভাটাগুলিতে ইট তৈরির ধুম পড়েছে। এসব ইট ভাটায় ইট প্রস্তুত করতে ভাটাগুলো ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি দেদারছে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে ফসলি জমির উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইটভাটায় ইট প্রস্তুত করতে এঁটেল ও দোআঁশ মাটি ব্যবহার করা হয়। স্থানীয় জমির মালিকদের কাছ থেকে জমি ভাড়া নিয়ে জেলার প্রায় প্রতিটি ফসলি জমি থেকে ইটভাটায় ব্যবহারের জন্য মাটি কাটা হচ্ছে। প্রতি বছর ডিসেম্বর থেকে ফেব্র“য়ারী মাস মাটি কাটার এই মহোৎসব চলে। সরেজমিন সদর উপজেলার ঈদগাঁওয়ের কয়েক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফসল উৎপাদন করে যে টাকা পাওয়া যায় এর চেয়ে মাটি বিক্রি করে বেশি টাকা আসে। কৃষক ছৈয়দ আহমদ বলেন, আমার জমির পাশের জমির মালিক ইটভাটায় মাটি বিক্রি করে দিয়েছেন। তাঁকে মাটি বিক্রি না করতে অনেক অনুরোধ করা সত্ত্বেও পার্শ্ববর্তী ভাটার মালিক আবুল হাসেম প্রকাশ বিমান মৌলভীর পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে মাটি বিক্রি করে দিয়েছে। এছাড়া অনেক বর্গা কৃষক অভিযোগ করেন, ইটভাটার মালিক বিমান মৌলভীর টাকার লোভে অনেক জমির মালিক মাটি বিক্রি করে আমাদের কৃষি জমির ক্ষতি করছেন। ২৩ জানুয়ারী ঈদগাঁও ঝাইক্ক্যা কাটা বিলে দেখা গেছে মাটি কাটার স্কেলেটর দিয়ে ফসলি জমির উপরিভাগ কেটে ৫/৬ টি ট্রাক দিয়ে মাটি নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটিগুলোতে। স্থানীয়দের অভিযোগ এভাবে মাটি কেটে ভারি ট্রাকে নিয়ে যাওয়ায় সদ্য মেরামতকৃত রাস্তাগুলো ভেঙ্গে ভেঙ্গে গর্ত হয়ে যাচ্ছে। যা বর্ষা মৌসুমে স্থানীয়দের যাতায়াতে দূর্ভোগে পড়তে হবে। আরও অভিযোগ প্রতিবছর এভাবে মাটি ভর্তি ট্রাক চলাচলের রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে সরকারের বছর না পেরুতেই পূনঃরায় মেরামত করতে হয়। অপরদিকে স্থানীয় বাসিন্ধাদেরও বর্ষা এলে দুর্বিসহ জীবন যাপন করতে হয়। জেলার প্রতিটি ইটভাটা সংলগ্ন ফসলি বিল ও পার্শ্ববর্তী রাস্তার একই চিত্র। কয়েক ইটভাটার ম্যানেজার বলেন, ফসলি জমির মাটি ইটতৈরীর জন্যে উপযোগী। তাই মাটির চাহিদা বেশি। চাহিদা অনুযায়ী মাটি না পাওায় আমাদের কৃষি জমির উপর নির্ভর করতে হয়। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জিকু দাসের মতে, প্রতিবছর প্রচুর পরিমান কৃষি জমির মাটি ইটভাটায় নিয়ে যাওয়ার কারণে জমির উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে কৃষির উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জেলায় ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়
নুরুল আমিন হেলালী
কক্সবাজারের প্রতিটি উপজেলায় ইটভাটাগুলিতে ইট তৈরির ধুম পড়েছে। এসব ইট ভাটায় ইট প্রস্তুত করতে ভাটাগুলো ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি দেদারছে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে ফসলি জমির উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইটভাটায় ইট প্রস্তুত করতে এঁটেল ও দোআঁশ মাটি ব্যবহার করা হয়। স্থানীয় জমির মালিকদের কাছ থেকে জমি ভাড়া নিয়ে জেলার প্রায় প্রতিটি ফসলি জমি থেকে ইটভাটায় ব্যবহারের জন্য মাটি কাটা হচ্ছে। প্রতি বছর ডিসেম্বর থেকে ফেব্র“য়ারী মাস মাটি কাটার এই মহোৎসব চলে। সরেজমিন সদর উপজেলার ঈদগাঁওয়ের কয়েক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফসল উৎপাদন করে যে টাকা পাওয়া যায় এর চেয়ে মাটি বিক্রি করে বেশি টাকা আসে। কৃষক ছৈয়দ আহমদ বলেন, আমার জমির পাশের জমির মালিক ইটভাটায় মাটি বিক্রি করে দিয়েছেন। তাঁকে মাটি বিক্রি না করতে অনেক অনুরোধ করা সত্ত্বেও পার্শ্ববর্তী ভাটার মালিক আবুল হাসেম প্রকাশ বিমান মৌলভীর পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে মাটি বিক্রি করে দিয়েছে। এছাড়া অনেক বর্গা কৃষক অভিযোগ করেন, ইটভাটার মালিক বিমান মৌলভীর টাকার লোভে অনেক জমির মালিক মাটি বিক্রি করে আমাদের কৃষি জমির ক্ষতি করছেন। ২৩ জানুয়ারী ঈদগাঁও ঝাইক্ক্যা কাটা বিলে দেখা গেছে মাটি কাটার স্কেলেটর দিয়ে ফসলি জমির উপরিভাগ কেটে ৫/৬ টি ট্রাক দিয়ে মাটি নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটিগুলোতে। স্থানীয়দের অভিযোগ এভাবে মাটি কেটে ভারি ট্রাকে নিয়ে যাওয়ায় সদ্য মেরামতকৃত রাস্তাগুলো ভেঙ্গে ভেঙ্গে গর্ত হয়ে যাচ্ছে। যা বর্ষা মৌসুমে স্থানীয়দের যাতায়াতে দূর্ভোগে পড়তে হবে। আরও অভিযোগ প্রতিবছর এভাবে মাটি ভর্তি ট্রাক চলাচলের রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে সরকারের বছর না পেরুতেই পূনঃরায় মেরামত করতে হয়। অপরদিকে স্থানীয় বাসিন্ধাদেরও বর্ষা এলে দুর্বিসহ জীবন যাপন করতে হয়। জেলার প্রতিটি ইটভাটা সংলগ্ন ফসলি বিল ও পার্শ্ববর্তী রাস্তার একই চিত্র। কয়েক ইটভাটার ম্যানেজার বলেন, ফসলি জমির মাটি ইটতৈরীর জন্যে উপযোগী। তাই মাটির চাহিদা বেশি। চাহিদা অনুযায়ী মাটি না পাওায় আমাদের কৃষি জমির উপর নির্ভর করতে হয়। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জিকু দাসের মতে, প্রতিবছর প্রচুর পরিমান কৃষি জমির মাটি ইটভাটায় নিয়ে যাওয়ার কারণে জমির উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে কৃষির উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


শেয়ার করুন