ফরিদপুরে জুয়েলারির দোকানে ডাকাতি হয় যেভাবে (ভিডিও)

বাংলা  ট্রিবিউন :

মাথায় মোটরসাইকেলের হেলমেট পড়া একজন অস্ত্র উঁচিয়ে হুট করে ঢুকে পড়ে নিউ মেঘনা জুয়েলার্স নামের একটি স্বর্ণের দোকানে। পেছন পেছন ঢোকে মুখঢাকা আরও কয়েকজন। ভেতরে ঢোকার পরপরই ক্রেতা ও কর্মচারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে দুর্বৃত্তরা। বোমাও ফোটায় তারা। এরপর দ্রুত দোকানের শোকেস থেকে সোনার গহনাগুলো বস্তায় তুলে নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাত দল।

ফরিদপুরে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি
এভাবেই ওই স্বর্ণের দোকানে অস্ত্র ঠেকিয়ে ও বোমা ফাটিয়ে ২০০ ভরি সোনা লুট করেছে একদল দুর্বৃত্ত। বুধবার রাত সোয়া আটটার দিকের ওই ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে না পারলেও দোকানটির সিসিটিভি’র ফুটেজে পুরো ডাকাতির ঘটনাটিই ধরা পড়েছে। ফুটেজটি পুলিশের হস্তগত হওয়ার কথা থাকলেও এরই মধ্যে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। জয়ন্ত নামের (Jayanto Rdx) নামের একজনের ফেসবুক পেজ থেকে বাংলা ট্রিবিউনের জন্য ভিডিওটি ডাউনলোড করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ফরিদপুর শহরের নীলতুলি এলাকার প্রধান সড়কের (মুজিব সড়ক) পাশে নিউ মেঘনা জুয়েলার্স নামে একটি স্বর্ণের দোকানে এই ডাকাতি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৮/১০ জনের একটি দল ওই দোকানে ঢুকে অতর্কিতে বোমা হামলা চালায়। এ সময় তাদের হাতে পিস্তল ও বাইরের লোকদের হাতে হকিস্টিক ছিল। তারা দোকানে ঢুকেই সবাইকে জিম্মি করে ফেললে দোকান মালিক স্বপন কর্মকারের ছেলে দীপঙ্কর কর্মকার বের হওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় তাকে বাইরে আটক করে হকিস্টিক দিয়ে বেদম মারধর করে দুর্বৃত্তরা।

নিউ মেঘনা জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী স্বপন কর্মকার দাবি করেছেন, কয়েকজন দুর্বৃত্ত দোকানের সামনে পর পর ১০টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তার শোকেস থেকে দুইশ’ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে।

তবে স্থানীয় অনেকেই বলছেন, দুর্বৃত্তদের একটি মাইক্রোবাসে চড়ে পালাতে দেখেছেন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে। এসময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় র‌্যাব ও পুলিশ। তল্লাশি চালানোর পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখেন তারা। পরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ডাকাতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছি। তাদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে


শেয়ার করুন