ফতেখাঁরকুল

ইউপি সদস্য সোনিয়া বড়ুয়া ও তার স্বামীর বিরূদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

uyyyবিশেষ প্রতিবেদক

রামু ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার সোনিয়া বড়ুয়া ও তার স্বামী রামু এভারেষ্ট টিচিং ইনষ্টিটিউট এর প্রধান শিক্ষক রাজু বড়ুয়ার বিরুদ্ধে প্রতারনা অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারনা করে টাকা অত্মসাৎ করার অভিযোগে বার বার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের নোটিশ গ্রহন না করায় অবশেষে সোনিয়া বড়ুয়া ও তার স্বামী রাজু বড়ুয়ার বাসায় নোটিশ টাংঙ্গিয়ে দিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ। ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদে রামু পূর্ব মেরংলোয়া গ্রামের মৃত অমিত বড়ুয়ার বড় ছেলে সুমন বড়ুয়া আপু র গত ৯ ফ্রেব্রুয়ারী দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, ২০১৪ সালে সোনিয়া বড়ুয়া তার স্বামী রাজু বড়ুয়া বাদী কাছ থেকে ৪লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা হওলাত হিসেবে নেয়। এর ১৩ মাস পরে বিভিন্ন কিস্তিতে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও বাকী ২ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা নিয়ে বাদীকে আজ দেবে কাল দেবে মর্মে কালক্ষেপন করিতে থাকে। বাদী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কামাল মেম্বার ও মহিলা মেম্বার রাবেয়া বসরী সহ গ্রামরে গনমান্য ব্যক্তিবর্গদের কাছে মৌখিকভাবে নালিশ দেওয়ার পরও কোন সুরহা না পেয়ে বাধ্য হয়ে ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়ের করে। ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের দফদার আবুল কাসেম বলেন, মহিলা মেম্বার সোনিয়া বড়ুয়া ও তার স্বামী রাজু বড়ুয়ার কাছে গ্রাম আদালতে নোটিশ পর পর দু বার দেওয়ার পরও তারা গ্রহন করে নাই।

৩য় নোটিশ গ্রহন না করায় বিধি অনুযায়ী আমি ও আমাদের পরিষদের মহিলা চকিদার হেমলা বড়ুয়া সহ গিয়ে বিবাদীদের বাসার দরজার পাশে নোটিশ টাংঙ্গিয়ে দিয়ে আসি। ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম প্রতিবেদক কে জানান, রামু পূর্ব মেরংলোয়া গ্রামের মৃত অমিত বড়ুয়ার ছেলে সুমন বড়ুয়া আপু র অভিযোগের প্রেক্ষিতে পর পর দুবার নোটিশ গ্রহন না করায় পরিষদের চকিদাররা বিবাদীর বাসার দরজায় নোটিশ টাংঙ্গিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন একজন ইউপি সদস্য হয়ে গ্রাম আদলতের নোটিশ গ্রহন না করা আদালত অবমাননার শামিল।

এ বিষয়ে অভিযোক্ত সোনিয়া মেম্বার মুটো ফোনে (০১৮১৯৯৪১৪১৯) যোগাযোগ করা হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি। বাদী সুমন বড়ুয়া আপু প্রতিবেদক কে বলেন, গত ইউপি নির্বাচনেও সোনিয়া বড়ুয়া আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে শোধ করে দিয়েছিলো এ বিশ্বাসে তাদের কে আবার দিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু টাকা পরিশোধ করলেও বাকী ২ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা দিতে তালবাহানা করিতে থাকে। পরে জানতে পারি আমার মত বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকেও এভাবে টাকা নিয়ে প্রতারনা করছে তারা। জানা গেছে উক্ত মহিলা মেম্বার সোনিয়া বড়ুয়া ও তার স্বামী রাজু বড়ুয়া এলাকার ব্যাবসায়ী, প্রবাসী সহ বিভিন্ন লোজনের জনের কাছ থেকে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।


শেয়ার করুন