প্রযুক্তির দৌড়ে সফল যারা

666666666666666666666666666666সিটিএন ডেস্ক:

অ্যালফাবেট নামে নতুন প্রতিষ্ঠানের ঘোষণা দিয়ে গুগল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেইজ। আর এর ফলে গুগলে ল্যারি পেইজের চেয়ারে, অর্থাৎ প্রধান নির্বাহীর পদে বসলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুন্দর পিসাই। তবে তিনি একাই শুধু নন। বর্তমান প্রযুক্তি বিশ্বের দৈত্যসম অনেক প্রতিষ্ঠানের হর্তাকর্তাই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ২০১৪ সালে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের নেতৃত্বে থাকা মাত্র তিনটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের (গুগল, মাইক্রোসফট ও নোকিয়া) সম্মিলিত আয়ের পরিমাণ ছিল ১৫৯০০ কোটি মার্কিন ডলার, যা বিশ্বের অনেক দেশের জিডিপির চেয়েও বেশি! সবগুলোর মিলিত ফল কি হবে, তা অনুমান করাও দুঃসাধ্য! এ ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধান নির্বাহীদের প্রায় সবাই ষাটের দশকে প্রতিষ্ঠিত ভারতের বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা, প্রকৌশল ও অর্থনীতির ইনস্টিটিউটের আবিষ্কার। প্রযুক্তি বিশ্বের প্রথিতযশা তারকা ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধান নির্বাহীদের সমপর্কে জেনে নেয়া যাক।

সুন্দর পিসাই: গুগলের সামান্য প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলেন নম্র, ভদ্র ও বিনয়ী প্রকৌশলী সুন্দর পিসাই। সামলাতেন একটি ব্রাউজার টুলবার। সাফল্য পেয়েছেন সেখানে। কিন্তু এমন সাফল্যের কারিগর গুগলে রয়েছেন অজস্র। সুন্দর পিসাই তখনও ব্যতিক্রম কেউ ছিলেন না। আজ থেকে ৫ বছর আগেও হয়তো গুগলের প্রধান নির্বাহী (সিইও) হিসেবে তাকে কেউ কল্পনা করেনি। কিন্তু অবিশ্বাস্য দ্রুততায় তিনি কয়েক বছর ধরে ক্রমাগত টপকেছেন সাফল্যের সিঁড়ি। জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার ক্রোমের সফলতাই তার পথ খুলে দেয়। এ ব্রাউজার ডেভেলপিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এরপর পেয়েছেন জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েডের মতো গুগলের অন্যতম সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের দায়িত্ব। এরপর থেকে গুগলের সিইও হওয়াটা তার জন্য একরকম অবধারিতই ছিল। এ জন্যই হয়তো মাইক্রোসফট ও টুইটারের প্রধান নির্বাহী হওয়ার প্রস্তাবও অবলীলায় পায়ে ঠেলেছেন তিনি। গুগলের প্রধান নির্বাহী হয়ে অপেক্ষার ফলও পেয়েছেন অবশেষে। তবে ধৈর্যের ফল এবারই যে তিনি প্রথম পেলেন, তা নয়। ক্রোম ব্রাউজারের সফলতার পর অ্যান্ডি রুবিনের অ্যান্ড্রয়েড দলের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয় তার। অ্যান্ড্রয়েডকে জনপ্রিয় করানোর পেছনে অন্যতম কারিগর ভাবা হয় রুবিনকে। তিনি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ক্রোমকে ব্রাউজার হিসেবে ব্যবহার করতে রাজি হননি। বরং, তার দল অ্যান্ড্রয়েডের জন্য ভিন্ন একটি ব্রাউজার তৈরি করে। সরাসরি লড়াইয়ে যাননি সুন্দর পিসাই। চুপ ছিলেন। কয়েক বছর পর গোটা অ্যান্ড্রয়েডেরই দায়িত্ব পান তিনি! এরপর বাকিটা ইতিহাস।

সত্য নান্দেলা: আরেক প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নন্দেলাও জন্মগতভাবে ভারতীয়। প্রায় ২২ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করছেন তিনি। গত বছরের ফেব্র“য়ারিতে মাইক্রোসফটের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। মাইক্রোসফট প্রধানের দায়িত্ব পাবার পর প্রথম দিন তিনি সহকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমার কৌতূহল ও শেখার আগ্রহ দিয়েই আমাকে সংজ্ঞায়িত করা হয়। আমি যত বই শেষ করতে পারি, তার চেয়ে বেশি বই কিনি। আমি যত অনলাইন কোর্স শেষ করতে পারবো, তার চেয়ে বেশি কোর্সে নিবন্ধন করি। আমি বিশ্বাস করি, যদি আপনি নতুন কিছু না শেখেন, তবে অসাধারণ কিছু আপনার ভেতর থেকে আর বের হবে না। হায়দ্রাবাদে জন্ম নেয়া সত্য নান্দেলা এর আগে মাইক্রোসফটের ক্লাউড ওএস সেবার দায়িত্বে ছিলেন। এ বিভাগের অধীনে ছিল বিং, স্কাইপ, এক্সবক্স লাইভ-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সেবা। সুন্দর পিসাইয়ের সঙ্গে তার একটি মিল হলো, তারা শুধু ভারতীয় বংশোদ্ভূতই নন। তারা বেড়ে উঠেছেন সেখানে। এমনকি স্নাতকও সমপন্ন করেছেন ভারতে। তাকে দায়িত্ব দেয়ার সময় মাইক্রোসফটের চেয়ারম্যান বিল গেটস বলেন, পরিবর্তনের এ যুগে মাইক্রোসফটকে নেতৃত্ব দিতে সত্য নন্দেলার চেয়ে ভাল কেউ আর নেই।

রাজীব সুরি: রাজীব সুরি বিশ্বের এক সময়কার প্রতাপশালী সেলফোন কোমপানি নোকিয়ার প্রধান নির্বাহী। গত বছর তিনি এ দায়িত্ব পান। মাইক্রোসফটের কাছে নিজেদের মোবাইল ফোন বিভাগ বিক্রি করে দেয়ার পর তিনি এ পদে বসেন। ১৯৯৫ সালে নোকিয়ায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে বহু গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের দায়িত্ব তার ওপর ছিল। তিনি ভারতের মনিপাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে স্নাতক শেষ করেন তিনি। বর্তমানে সিঙ্গাপুরের নাগরিক রাজীব সুরি।

শান্তনু নারায়ণ: সিলিকন ভ্যালির অন্যতম প্রভাবশালী ভারতীয় হলেন শান্তনু নারায়ণ। তিনি বিশ্বখ্যাত সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাডোবি সিস্টেমসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ১৯৯৮ সালে এ প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ দেন তিনি। ২০০৫ সালে হন প্রেসিডেন্ট। ২০০৭ সালে তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পান ও বোর্ড অব ডিরেক্টরিজের সদস্য হন। তিনিও সত্য নান্দেলার মতো পড়াশুনা করেছেন হায়দ্রাবাদ থেকে। সে শহরেই তার জন্ম। তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বিশ্ববিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলে। কিন্তু অ্যাডোবিতেই তার ক্যারিয়ার বড় বাঁক নেয়। এখন এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।

নিকেশ অরোরা: গুগলে ১০ বছর দায়িত্ব পালনের পর নিকেশ অরোরা চলে যান জাপানভিত্তিক আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংকে। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ৬২তম বৃহৎ কোমপানি। এ বিশাল কোমপানিটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি প্রথমে। পরে প্রধান নির্বাহী হন। প্রতিষ্ঠানটিকে নেতৃত্ব দেয়ার বিনিময়ে নিকেশ রেকর্ড পরিমাণ পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। ২০১৫ সালে তিনি ১৩ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পারিশ্রমিক গ্রহণ করেন। তার চেয়ে বর্তমান দুনিয়ায় মাত্র ২ জন প্রধান নির্বাহী বেশি বেতন পান। গুগলেও তিনি বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির ইউরোপ শাখা প্রধান, জ্যেষ্ঠ ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও চিফ বিজনেস অফিসার হিসেবে কাজ করেন অরোরা।

সঞ্জয় ঝা: গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ নামের প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী সঞ্জয় কে. ঝা। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে এ দায়িত্ব পান তিনি। প্রযুক্তি শিল্পে বেশ ভাল দখল আছে তার। তিনি এক সময় মটোরোলা মোবিলিটি হোল্ডিংস ও মটোরোলা মোবিলিটির প্রধান নির্বাহী ছিলেন। এছাড়া কোয়ালকমেও তিনি জ্যেষ্ঠ নির্বাহী ছিলেন।

সঞ্জয় মেহরোত্রা: ফ্ল্যাশ মেমরি স্টোরেজ ও সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যানডিস্কের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সঞ্জয় মেহরোত্রা। তিনি বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রযুক্তি বিশ্বের বাইরের প্রধান নির্বাহীরা: প্রযুক্তি বিশ্বের বাইরে আরও অনেক বিখ্যাত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ভারতীয়রা। যেমন: বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ কোমল পানীয় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান পেপসিকোর প্রধান নির্বাহী ইন্দ্রা নুয়ি। ফোর্বসের মতে, তিনি বিশ্বের ১৫ নম্বর ক্ষমতাধর নারী। ভারতীয় সিইওদের এ অভিজাত ক্লাবে আরও রয়েছেন বিশ্ববিখ্যাত আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান মাস্টারকার্ডের প্রধান নির্বাহী (পেপসিকো ও নেসলের সাবেক প্রধান নির্বাহী) অজয় বাংগা, লুক্সেমবার্গভিত্তিক আন্তর্জাতিক স্টিল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান আর্চেলটর মিত্তালের প্রধান লক্ষ্মী মিত্তাল, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কোগনিয্যান্টের প্রধান নির্বাহী ফ্রান্সিস্কো ডি. সুজা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট লক্ষ্মী নারায়ণ, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিটি গ্র“পের সাবেক প্রধান নির্বাহী বিক্রম প-িত, বৃটিশ টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ভোডাফোনের সাবেক প্রধান নির্বাহী অরুণ সারিন, ডয়েচে ব্যাংকের সাবেক সহ-প্রধান নির্বাহী আনশু জৈন, ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব সিংগাপুরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিচালক পীযূষ গুপ্ত, ইংল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্য প্রতিষ্ঠান রেকিট বেনকিজারের প্রধান নির্বাহী রাকেশ কাপুর, অ্যালকোহলিক পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান দিয়েগিওর প্রধান নির্বাহী ইভান মেনেজেস।

প্রযুক্তি বিশ্বের অন্যরা: প্রধান নির্বাহী পদে না হলেও, প্রযুক্তি বিশ্বের অনেক উচ্চপদে কাজ করছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। এছাড়া অনেক খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন কোণায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভারতীয়রা। যেমন: পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সান মাইক্রো-সিস্টেমসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিনোদ খোসলা। সানের হাত ধরেই জাভা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ও নেটওয়ার্ক ফাইল সিস্টেমের আবির্ভাব ঘটে। ফোর্বস ম্যাগাজিনের মতে, শত কোটি ডলারের মালিক তিনি। অবশ্য সান-মাইক্রোসিস্টেমস গঠনের ২ বছর পর তিনি সরে আসেন। কানাডাভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ফেয়ারফ্যাক্সের প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী প্রেম ওয়াতসাকে বলা হয় ‘কানাডার বাফেট’। ২০১৩ সালে ব্ল্যাকবেরি ঘোষণা দিয়েছিল, তারা ফেয়ারফ্যাক্স কিনে নেবে। ধারণা করা হয়, প্রেম ওয়াতসা ব্ল্যাকবেরিরও প্রধান নির্বাহী হবেন।

গুগলের তিন জন জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতীয়! তারা হলেন, অমিত সিংঘল, বিবেক গুন্ডোত্রা ও শ্রীধর রামেস্বামী। অমিত সিংঘল গুগল সার্চ ইঞ্জিনের অপরিহার্য অঙ্গ অ্যালগরিদমের বিষয়টি দেখাশুনা করেন। বিবেক গুন্ডোত্রার হাতে গুগলের সামাজিক যোগাযোগ বিভাগের দায়িত্ব ন্যস্ত। তিনি মাইক্রোসফটের জেনারেল ম্যানেজার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গুগলের আরেক জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট (বিজ্ঞাপন ও বাণিজ্য) শ্রীধর রামেস্বামী। এর আগে বিশ্ববিখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান বেল ল্যাবে কাজ করেছেন তিনি। রয়েছেন গুগল নিউজের উদ্ভাবক কৃষ্ণ ভারত। কৃষ্ণ ভারত আর অমিত সিংঘল আবার বন্ধু। মূলত কৃষ্ণের উৎসাহেই গুগলে যোগ দেন সিংঘল। সিলিকন ভ্যালির আরেক প্রভাবশালী খেলোয়াড় ইন্টেলের চিফ ক্লায়েন্ট প্লাটফর্ম আর্কিটেক্ট অজয় ভাটও ভারতীয়। তিনি ইউএসবি আবিষ্কারের জন্য খ্যাত, যা বিশ্বের প্রায় প্রতিটি কমিপউটিং ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া ইন্টেলের পেন্টিয়াম চিপের আবিষ্কারকও একজন ভারতীয়-বিনোদ ধাম। প্রধান নির্বাহী না হলেও পদ্মশ্রী হরিহর ছিলেন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সিসকো ও মটোরোলার প্রধান টেকনোলজি অ্যান্ড স্ট্রেটজি অফিসার (সিটিও)। ২০১৪ সালে তিনি ফোর্বসের করা বিশ্বের শীর্ষ ১০০ ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় ৭১তম স্থান দখল করেছিলেন। এছাড়া বহুল পরিচিত ই-মেইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হটমেইলের প্রতিষ্ঠাতা সাবির ভাটিয়াও একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। বর্তমানে ব্যবহারকারীর দিক দিয়ে জি-মেইলের পর হটমেইলই বিশ্বের বৃহত্তম ই-মেইল সেবা। এছাড়াও আছেন জনপ্রিয় সøাইডার সরবরাহকারী ওয়েবসাইট সøাইডশেয়ারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রেশমি সিনহা। ফেসবুকের প্রথম নারী প্রকৌশলী রুচি সাংভি রয়েছেন এখন ওরাকলে। আরও বহু ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাজ করছেন বিভিন্ন বিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে। যেমন: টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, অ্যাপলের প্রতি ৩ জন প্রকৌশলীর একজনই ভারতীয়! যদিও প্রতিষ্ঠানটির উচ্চপদে ভারতীয় কেউ নেই বললেই চলে। লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসের মতে, সিলিকন ভ্যালির প্রায় ১৬ শতাংশ নতুন প্রতিষ্ঠানের (স্টার্টআপ) সহ-প্রতিষ্ঠাতা ভারতীয়রা। এসব পরিসংখ্যানেই যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির বা বিশ্বের অন্যান্য প্রযুক্তি নীড়ে ভারতের উদীয়মান আধিপত্যের মাত্রা আঁচ করা যায়। ভারতীয় অভিবাসীদের নতুন প্রজন্ম যে সামনে আরও প্রভাব রাখবে প্রযুক্তি ও অন্যান্য খাতে, তা-ও সহজে অনুমেয়। মানবজমিন


শেয়ার করুন