স্টুটগার্টের চিঠি

প্রবাসে একুশের চেতনা

৫২’র ভাষা আন্দোলন আর ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির পরম সৌভাগ্যের দুটি অধ্যায়। একটার সঙ্গে আরেকটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে সম্পর্কযুক্ত।

ভাষাশহীদদের আত্মত্যাগে বাঙালি জাতির মায়ের ভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আর ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এই বাংলাভাষায় কথা বলা জাতিকে পৃথিবীর বুকে স্থায়ী ভূখণ্ড দিয়েছে। আমরা সকলেই তা জানি।

প্রবাসে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকেও মায়ের ভাষা এবং ইতিহাস সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে প্রবাসে যাদের জন্ম ও বসবাস, তাদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। আমাদের সন্তানদের মায়ের ভাষা শিক্ষা দেওয়া যেমন জরুরি তেমনি তাদেরকে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা দেওয়াটাও খুবই দরকার।

জন্মসূত্রে মানুষ যেকোনো দেশের নাগরিক হতে পারে কিন্ত একজন বাঙালির সন্তান পৃথিবীর যে দেশেরই নাগরিক হোক না কেন, ভাষা ও সংস্কৃতির দিক থেকে সে বাঙালিই। কারো যদি তার শেকড় সম্পর্কে বা মাতৃভুমি সম্পর্কে জ্ঞান না থাকে বা মাতৃভাষায় যদি সে ভালভাবে কথা বলতে না পারে, সে কখনও কোনো দেশের মানুষের কাছেই ততটা সন্মানিত হতে পারে না।

যারা আমাদের ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করে আর পৃথিবীর বুকে স্থায়ী ঠিকানা দিয়ে বাঙালি জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন, সন্মানিত করে গেছেন, আমরা চিরঋণী সেই সকল ভাষাশহীদের কাছে আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কাছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে আমাদের ভূখণ্ড শত্রুমুক্ত হয়েছিল বলেই আমরা বাংলাভাষায় কথা বলতে পারি এবং বাঙালি জাতি হিসাবে পৃথিবীতে স্থায়ী ঠিকানা পেয়েছি। বাংলাদেশ অর্জিত হয়ে ভাষাশহীদদের আত্মত্যাগ সফল করেছে। পদ্মা-মেঘনা-যমুনার স্রোতে জেগে রয়েছে বাংলাভাষা, বাঙালি ও বাংলাদেশের স্বপ্ন।

প্রতিটি জাতিরই কৃষ্টি-কালচার, ভাষা,পোশাক,খাবার, আচরণে নিজস্বতা,আলাদা স্বকীয়তা থাকে।আমাদের মায়ের ভাষা যেমন মিষ্টি মধুর তেমনি আচরনেও আমরা নরম কোমল স্বভাবের।আমরা আমাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং সংস্কৃতিতে একটি অনন্য আলাদা জাতি।ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগে আমরা ভাষার অধিকার না পেলে আর মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারতাম না। এবং যদি


শেয়ার করুন