প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

prothom-alo-400x256ঝিনাইদহ আদালতে দায়ের হওয়া দুটি মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মানহানির অভিযোগ এনে এই মামলা দুটি করেছেন জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আকিমুল ইসলামের ছেলে তানভির আহম্মেদ ও সাব্দালপুরের যুবলীগ কর্মী মো. সাইফুল ইসলাম।
ঝিনাইদহ আমলি আদালতের (কোটচাঁদপুর) বিচারিক হাকিম মো. সাজ্জাদ হোসেন মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। মতিউর রহমানের সঙ্গে প্রথম আলোর ঝিনাইদহ প্রতিনিধি আজাদ রহমান ও কোটচাঁদপুরের স্থানীয় সাংবাদিক সুব্রত সরকারের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করা হয়।
ভর্তুকির টাকায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ১৫টি কলের লাঙল কেনায় অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রথম আলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম আলোর সম্পাদক এবং পত্রিকার ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ও স্থানীয় একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আটটি মানহানির মামলা করা হয়। মামলাগুলোর বাদী কলের লাঙলের জন্য নির্বাচিত স্থানীয় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। আর প্রথম আলোর ঝিনাইদহ প্রতিনিধি আজাদ রহমান ও স্থানীয় সাংবাদিক সুব্রত সরকারের বিরুদ্ধে অজামিনযোগ্য ধারায় পৃথক দুটি চাঁদাবাজির মামলা করা হয়। এর একটির বাদী কলের লাঙলের ডিলার, অন্যটির বাদী একজন যুবলীগ কর্মী। এর মধ্যে মানহানির দুটি মামলায় গতকাল পরোয়ানা জারি হলো।
প্রথম আলোর আইন কর্মকর্তা আফতাব উদ্দিন সিদ্দিকী জানান, আদালতে হাজির হওয়ার বিষয়ে কোনো সমন বিবাদীরা পাননি। মামলায় যে তিনজনকে বিবাদী করা হয়েছে, তাঁদের অফিস বা বাসস্থান কোথাও কোনো সমন গতকাল পর্যন্ত আসেনি।

প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মতিউর রহমান প্রথম আলোসিটিএন ডেস্ক: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও দাঙ্গা উস্কে দেয়ার মতো সংবাদ ও ছবি প্রকাশ করার অভিযোগে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও ফটো সাংবাদিক মজিদ খানের বিরুদ্ধে ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালত।

নির্ধারিত তারিখে বুধবার দুপুর ১২টায় ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে বিচারক মো. আরিফুজ্জামান এ আদেশ দেন। গত বছরের ৯ অক্টোবর ঝালকাঠির আইনজীবী বনি আমিন বাকলাই বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

বাদীর আইনজীবী এম আলম খান কামাল জানান, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান তার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে বিভিন্ন সময় ধর্মীয় উন্মাদনা এবং জননিরাপত্তার হুমকি প্রদর্শন করেন। তার পত্রিকার ফটো সাংবাদিক মজিদ খান ছবি ছেপে সাস্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করেন। তার পত্রিকার বক্তব্যে ধর্মের প্রতি অবমাননা প্রদর্শন এবং উপসনালয়ে ক্ষতিসাধণ করা হয়েছে, যা মতিউর রহমান ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার উদ্দেশ্যে করেছেন।

ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০০৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ‘আলপিন’ নামে রম্য মাগ্যাজিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (স.) নিয়ে ব্যঙ্গ কার্টুন প্রকাশ করে। মহানবীকে নিয়ে আপত্তিকর কার্টুন প্রকাশ করায় দেশজুড়ে ধর্মীয় বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন আন্দোলনের ডাক দেয়। উত্তপ্ত হয় রাজপথ। ধর্মপ্রাণ অনেকেই এ আন্দোলনে অংশ নেয়।


শেয়ার করুন