পোকখালী জুড়ে রাস্তায় ভাঁঙ্গন আর ভাঁঙ্গন, চেয়ারম্যানের খবর নেই !

pokaliবিশেষ প্রতিবেদক:

ককসবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়ন জুড়ে বন্যায় ভেঁঙ্গে যাওয়া পাকা সড়ক সংস্করণের কোন প্রকার উদ্যোগ না নিয়ে চেয়ারম্যান ফরিদ উদাসীন হয়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছে বলে জানাগেছে। ৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পোকখালীর সবকটি এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শনে করে দেখাযায়, পোকখালী মুসলিম বাজার থেকে শুরু করে পশ্চিমের ফরাজি ঘোনা পর্যন্ত সম্প্রতি দুই দফা বন্যার তান্ডবে সমস্ত পাকা সড়ক ভেঁঙ্গে চৌছির হয়ে যায়। কিন্তু বন্যা পরবর্তী সময় হতে আজ পর্যন্ত চেয়ারম্যান মৌলানা ফরিদুল আলম এলাকায় সময় না দিয়ে কোথাও যেন উধাও হয়ে আছেন বলে মনে করছেন স্থানীয় এলাকার লোকজন।

খোদ পরিষদ ভবনের সামনের রাস্তাটি এতই ভাঁঙ্গা, যেটা বলতে গেলে চেয়াম্যানের উঠান। সে রকম ভঁঙ্গুরময় রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ২০ হাজার মানুষ যাতায়াত করছেন। কিন্তু এত সব বিপর্যস্ত পাকা সড়কে সর্ব সাধারণ কিভাবে চলাচল করছেন তার কোন খুঁজ খবর সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা নিচেছ না। বরং তারা যে যার মতো করে চিন্তা করছেন । যার দরুণ এলাকার মানুষের দুঃখে কেউ এগিয়ে আসাতে চাচেছন না। মধ্যম পোকখালীর সালাম নামের এক লোক বলেন, চেযারম্যান খুবই যোগ্য কিন্তু তিনি নিজের পকেট থেকে দিতে চাই না।

সে মন্ত্রনালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে দরখাস্ত করে রাখেন যখন অর্ডার হবে তখন কাজ করেন। লোকটি আরো বলেন,স্বভাবতই দেখলে মনে হবে এলাকায় চেয়ারম্যান শূণ্য, না হলে এই এলাকার রাস্তা-ঘাটের করুণ অবস্থা কেন ? আসলে চেয়ারম্যান এসব অবস্থা নিয়ে কোন রকম চিন্তা ভাবনা করে না। যদি তিনি একটু উদ্যোগ নেই তাহলে সহজভাবে ট্রাকে করে মাটি দিয়ে কাজ করা যায়। অথচ এই এলাকায় রয়েছে এতিহ্যবাহী একটি মদরাসা রয়েছে। যেখানে দেড় হাজারের অধিক লোক পড়া-লেখা করে।এছাড়া আন্যান্য প্রতিষ্টানের অনেক ছাত্র-ছাত্রী এসব পথ দিয়ে যাতায়ত করে থাকেন।

এ দিকে ছলিম নামের এক স্কুল শিক্ষক বলেন, নাইক্ষ্যংদিয়া রোড,ফরাজী রোড,মধ্যম পোকখালী রোড আর খালের রোড এতই ভাঁঙ্গা বলার মতো না । বন্যা শেষ হয়েছে আজ অনেক দিন হলো তবে আজ পর্যন্ত রাস্তা-ঘাটের দৃশ্যমান কোন পরিবর্তন হয়নি। তিনি বলেন আমাদের এখন চলাচলে খুবই বেগ পেতে হচেছ । গাড়ি নিয়ে যে কোন জাযগায় সহজে চলাচল করা খুবই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। আমরা সরকারের নিকট জোর দাবী জানাচিছ, যত দ্রুত সম্ভব আমাদের এই অকেজো হয়ে যাওয়া পাকা সড়ক গুলো সংস্কার করে আমাদের দুঃখ দুর্দশা যেন লাগব করেন। এসব বিষয়য়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদুর আলম সিটিএন কে বলেন, ইতোমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের জন্য বরাদ্দ হয়েছে। হয়তো সপ্তাহ খানেক পর কন্ট্রাকটর কাজ শুরু করবেন।


শেয়ার করুন