পেকুয়ায় সামাজিক বাগানে সন্ত্রাসীদের হানা, অস্ত্রের মহড়া

Pekua-ctnপেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় সামাজিক বাগানে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হানা দিয়েছে। এসময় সংঘবদ্ধ গাছ চোর সিন্ডিকেটের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে গাছ লুটের মিশনে নেমেছেন। তারা উপকারভোগীর বাগান থেকে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ লুট করতে গত ৬সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে সামাজিক বাগানে হানা দিয়েছে। এসময় জনমনে ভীতি ছড়াতে পাহাড়ি স্বশস্ত্র ওই সন্ত্রাসীরা অস্ত্র হাতে নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে। এনিয়ে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের পাহাড়ি জারুলবুণিয়া গ্রামের ঢালারমুখ ভলি আমগাছ তলার বড় ভাংগার জুম এলাকায় আইন শৃংখলার চরম অবনতি ঘটার উপক্রম হয়েছে। সন্ত্রাসীদের অব্যাহত অস্ত্রের ঝনঝনানিতে দূর্গম ওই এলাকায় মানুষের মধ্যে চরম আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। ভীতি ছড়াতে ওই সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় তৈরি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মানুষের নিরাপত্তা বিঘিœত করেছে। এতে করে ওই এলাকায় সৃজিত সামাজিক বাগানের অংশীদারদের মধ্যে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ওইদিন এলাকায় স্বশস্ত্র ওই গ্রুপটি বাগানে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে উপকারভোগীদের রোপিত বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ কেটে লুট করে আসে। ফলে চট্টগ্রাম দক্ষিন বন বিভাগের ওই এলাকায় স্থিত বনভুমি চরম হুমকির মধ্যে পড়েছে। সামাজিক বাগানের শত শত বৃক্ষ ওই চক্র লুট করে গতকাল তারা বিক্রির উদ্দেশ্যে গাড়িযোগে অন্যত্রে পাচার করেছে। এদিকে সামাজিক বাগানের মালিক আব্দুল খালেক, বোরহান উদ্দিন, জহির আলম ও পুতু মিয়া সহ উপকার ভোগীরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে জানে হত্যার ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। জানাগেছে, শিলখালীর ওই স্থানে গত ২০১২সালে ওই উপকারভোগীরা ২০একর জমিতে ফলজ, বনজ ও ঔষুধিসহ বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ বাগান সৃজন করে। বর্তমানে বাগানের গাছগুলি পরিপক্ক ও বিক্রি উপযুক্ত হওয়ায় সেগুলোর প্রতি লোলুপ দৃষ্টি পড়ে গাছ চোর সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য শিলখালী জারুলবুণিয়া এলাকার আক্তার আহমদের পুত্র মো. নুরুল আলম, নুরুল ইসলামের পুত্র নুর মোহাম্মদ রানা, মৃত মিয়া হোছনের পুত্র নুর মোহাম্মদ, সেগুন বাঁগিচা এলাকার মোঃ শহিদুল্লাহর পুত্র আলমগীর, মৃত আলী হোছনের পুত্র বশির আহমদসহ আরো বেশ কয়েকজন। তারা ওইদিন বাগানে হানা দিয়ে গাছ নিধনের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। তারা স্বশস্ত্র অবস্থান নিয়ে গাছ কাটা আরম্ভ করলে উপকারভোগীরা গিয়ে গাছ না কাটতে নিষেধ করে। এসময় ওই ব্যক্তিরা উপকারভোগীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গাছ কাটা অব্যহত রাখে। এসময় ২০একরের ওই বাগান থেকে প্রায় শতাধিক বৃক্ষ কেটে সাবাড় করে। এব্যাপারে উপকার ভোগীরা জানিয়েছেন, অংশীদারিত্ব মুলক বনায়নে আমরা সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে দলিল পেয়ে বনায়ন করেছি। নিজেদের সঞ্চিত লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে এর পরিচর্যা করেছি। এচক্রটি গাছ ও বনাঞ্চলের ভুমি কুক্ষিগত করতে পেশিশক্তির বলয় তৈরি করে আমাদেরকে উচ্ছেদ করার পায়তারা করছে।


শেয়ার করুন