পেকুয়ায় ব্যাপক গুলাগুলি, শিশুসহ গুলিবিদ্ধ-৩

পেকুয়া প্রতিনিধিimages
পেকুয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলাগুলি হয়েছে। এ সময় ছোঁড়া গুলিতে পিতার কোলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে দেড় বছরের এক শিশু। এছাড়া ওই শিশুর পিতাসহ এক স্কুল ছাত্রও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ওই ঘটনার জের ধরে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ দু’দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুর ১টার দিকে রাজাখালী ইউনিয়নের টেকঘোনাপাড়া এলাকায়। গুলিবিদ্ধরা হলেন ওই এলাকার মৃত.মাহমুদুল হকের ছেলে আইয়ুব আলী (৩২), তার দেড় বছরের শিশু পুত্র মো. আবির ও একই এলাকার মো. ইউনুসের ছেলে পেকুয়া জিএমসির নবম শ্রেনীর ছাত্র ইমরান (১৪)। তবে শিশু আবিরকে ওই দিন বিকেলে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এদের মধ্যে আইয়ুবের মাথায় গুলি লাগে। শিশু আবিরের পিঠে ও কপালে একাধিক ছররা গুলি লাগে। ইমরানের পায়ে গুলি লাগে। পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে নাছির উদ্দিন (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন টেকঘোনা পাড়া এলাকার আব্দুল কাদের প্রকাশ বইদ্যা কাদেরের ছেলে ইলিয়াস স্ত্রীর সাথে অভিমান এনে গত কয়েক দিন আগে তার স্ত্রী বেবি আকতারকে তালাক দেয়। এনিয়ে স্থানীয় আহমদ ছফার ছেলে রফিক উদ্দিন বেবি আকতারকে তালাকের একদিন পর স্বামীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এনিয়ে ইলিয়াসের সাথে সমাজপতিদের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তালাকের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে তারা একজন আলেমকে এলাকায় এনে এর বিষয়ে ফরায়াজে সম্মত হন। ফতোয়ায় ওই আলেম তালাক হয়েছে মর্মে সিদ্ধান্ত দেন। এদিকে ওই ঘটনায় দু’পক্ষ মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আহমদ ছফার ছেলে রফিক, গুরামিয়া, ছৈয়দুল হকের ছেলে নেজাম উদ্দিন, আব্দুল কাদেরের ছেলে ইলিয়াসসহ ১০/১৫জনের উত্তেজিত লোকজন এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে। জানাগেছে আইয়ুব আলী তার শিশু ছেলে আবিরকে নিয়ে বাড়ির ছাদে ঘটনা প্রত্যক্ষ করছিল। এ সময় তার দু’জনেই গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা জানায় গত মঙ্গলবার রাতেও ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়েছে। রফিক ও নেজাম ভিন্ন সমাজের লোক। কিন্তু নেজাম টেকঘোনা পাড়ায় ঘর জামাই হিসেবে কয়েকমাস ধরে বসবাস করে আসছেন। সৃষ্ট ঘটনা নিয়ে ওই দিন সকালে নেজাম সমাজ পতিদের গালমন্দ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুপুরে আজিম উদ্দিন গং তাকে ধাওয়া দেয়। এ নিয়ে আজিম উদ্দিন ও রফিক উদ্দিন গংদের মধ্যে অন্তত ২০-২৫রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। অপরদিকে এদিন বিকেলে ফের দু’পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় ও ভাংচুর হয়েছে। দফায় দফায় গুলি বর্ষনের ঘটনায় পুর্ব রাজাখালী টেকঘোনা ও পাশ্ববর্তী বারবাকিয়া ইউনিয়নের নোয়াখালী এলাকায় চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা রেকর্ড় করা হবে।


শেয়ার করুন