পেকুয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত-১৫

images_90460পেকুয়া প্রতিনিধি

পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বামুলা পাড়া গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫জন আহত হয়েছেন। ওই ঘটনার জের ধরে একটি বসতবাড়ি আগুনে ভস্মিভুত হয়েছে। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গতকাল ২৬ এপ্রিল সকাল ১০টার এ ঘটনাটি ঘটেছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতরা হলেন, ওই এলাকার মৃত.গোলাম নবীর স্ত্রী ছায়েরা খাতুন (৬৫), জহির আলমের স্ত্রী কমরুন্নাহার(৪০), বদি আলমের স্ত্রী কানিছ ফাতেমা(৩০), মোছলে উদ্দিনের স্ত্রী রহিমা বেগম(৪৫), নবীর হোছনের স্ত্রী বুড়ি(৪০), শফিউল আলমের স্ত্রী রাশেদা বেগম (৪০), মৃত. আব্দুল নবীর ছেলে নবীর হোছন (৪৫), গোলাম নবীর ছেলে জহির আলম(৪২), বদিউল আলম, শফিউল আলমের ছেলে আব্দুল্লাহ মামুন (১৮), ওয়াহিদ আলীর ছেলে আমির হোছন (৫০), মোছলেহ উদ্দিন(৬০), সেলিমের ছেলে(১৭), নুরুচ্ছবির ছেলে ওসমান(৩৫) ও এয়াকুব আলীর স্ত্রী ছাদেকা বেগম(৩৭)। আহতদের মধ্যে ওসমানের অবস্থা গুরুতর। তার চোখেও আঘাত করা হয়েছে। দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় বামুলাপাড়া এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনার সুবিধা নিতে তৃতীয় একটি পক্ষ এলাকায় সন্ধ্যার দিকে স্বশস্ত্র মহড়া দিয়েছে। পেকুয়া থানা পুলিশ উত্তেজনা প্রশমিত করতে দু’দফা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। জানাগেছে, ওইদিন সকালে মনু নামের এক ছেলেকে ইউপি সদস্য আজম উদ্দিনের লোকজন মারধর করছিল। মারধরের ওই দৃশ্যটি আবুল কালাম নামের এক ছেলে মুঠোফোনে ভিডিও ধারন করছিলেন। এর সুত্র ধরে ইউপি সদস্যের লোকজন তাকে মারধর করে। এনিয়ে স্থানীয় সাবেক মেম্বার জাবের আহমদ ও বর্তমান মেম্বার আজম উদ্দিনের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এদিকে একই ঘটনার জের ধরে বামুলাপাড়া এলাকার নবীর হোছনের বসতঘর আগুন ধরিয়ে ভস্মিভুত করা হয়েছে। তবে আগুনের ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। জাবের মেম্বার পক্ষের দাবি প্রতিপক্ষদের ফাঁসাতে আজুর লোকজন নিজেরাই ঘর জ্বালিয়ে দেয়। পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করা হলে সেখানে এলাকাবাসিকে যেতে দেয়নি আজুর লোকজন। অপরদিকে আজম উদ্দিনের লোকজনের দাবি জাবের মেম্বারের লোকজনই আক্রোশের বশে ঘরে আগুন দিয়েছে। পেকুয়া থানার এস.আই শাহেদুল্লাহ জানান, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। ঘটনাটি তদন্ত চলছে। এখনো পর্যন্ত কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।


শেয়ার করুন