পেকুয়া প্রতিনিধি.
পেকুয়ায় মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শরাফত উল্লাহ ওয়াসিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মগনামা ইউপিতে গত নির্বাচনে ১,২ও ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড়ের মহিলা মেম্বার প্রার্থী ছকিনা বেগম বাদি হয়ে গত ১০জুলাই কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ওই মামলাটি রুজু করে। মামলায় চেয়ারম্যান ওয়াসিম ছাড়াও মগনামা ইউপির ১নং ওয়ার্ড়ের সদস্য যুবদল নেতা নুর মুহাম্মদ মাদুসহ চার জনকে আসামি করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ হাকিম আমলে নিয়ে অধিক তদন্তের জন্য ওসি পেকুয়া থানাকে দায়িত্বভার ন্যাস্ত করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অপর আসামিরা হলেন একই ইউনিয়নের শরতঘোনা এলাকার মৃত.ইসমাইলের ছেলে শাহাব উদ্দিন ও লস্কর আলীর ছেলে এছারুল হক। মামলা সুত্রে জানা গেছে গত ৬জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শরতঘোনা এলাকার লিয়াকত আলীর স্ত্রী ছকিনা বেগম (৩৩) টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে যায়। এ সময় শরতঘোনা পাউবো স্লুইচ গেইট সংলগ্ন স্থানে আসামিরা একটি বাসায় আড্ডা করছিল। ওই মহিলাকে তারা জোর করে বাসায় নিয়ে আসে। এ সময় তাকে চেয়ারম্যানসহ আসামিরা ধর্ষন চেষ্টা চালায়। এ সময় সম্ভ্রম বাচাতে ওই মহিলা আর্তচিৎকার করলে মাকে উদ্ধার করতে মেয়ে নুরতাজ বেগম মুক্তা, ছেলে আনছার, তোফাইল ওই স্থানে যায়। ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা ছকিনা ও তিন ছেলে মেয়েকে মারধর করে আহত করে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। মামলা সুত্রে আরো জানা গেছে স্লুইচ গেইটের নিকট ইউপি সদস্য নুর মুহাম্মদ মাদু একটি বৈঠক ঘর স্থাপন করে। সেখানে বসে প্রতিদিন মদ জুয়ার আসার। বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড ও অসামাজিক কাজ চলে ওই বৈঠক ঘরে। এ ব্যাপারে ছকিনা বেগমের স্বামী লিয়াকত আলী জানায় মামলার পর থেকে আসামিরা বেপরোয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান ওয়াসিম প্রতিদিন মুঠোফোনে আমার স্ত্রীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে অসভ্য গালিগালাজ করছে।
এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ ও প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে। খুনি মাদুর ভয়ে আমি তিনদিন ধরে বাড়িতে যাচ্ছিনা। বাদি ছকিনা বেগম জানায় গত নির্বাচনে আমি মহিলা মেম্বার পদে প্রার্থী ছিলাম। সামন্য ভোটে পরাজিত হয়েছি। ইউপি সদস্য নুর মুহাম্মদ মাদু ও চেয়ারম্যান আমাকে প্রায় সময় কুপ্রস্তাব দিত। ঘটনার দিন তারা জোর করে ধর্ষন চেষ্টা চালায়। ইউপি সদস্য নুর মুহাম্মদ মাদু ঘটনাটি সাজানো বলে দাবি করেন। তিনি বলেন আমাকে খুনি মাদু হিসেবে চিনে। খুন করেছি ও মদ খাই বলে জনগন আমাকে ভোট দিয়ে মেম্বার করেছে। এ সব করি বলে মেম্বার হয়েছি। আমি লিয়াকত আলীকে খুঁজছি। পেলে বেঁধে মারধর করব। পারলে সব পত্রিকায় ইচ্ছামত লিখেন। ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম জানায় এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আমাকে আসামি করা হয়েছে এ প্রথম আপনার কাছে শুনলাম।