পবিত্র অবস্থায় ঘুমানোর ফজিলত

ghom-400x224সিটিএন ডেস্ক:
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেছেন,‘তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী। রাত্রিকে করেছি আবরণ। দিনকে করেছি জীবিকা অর্জনের সময়।’ (সুরা নাবা : আয়াত ৯-১১) মানুষ দিনের বেলায় দুনিয়ার যাবতীয় কাজ-কর্মে ব্যস্ত সময় পার করে। রাতে ক্লান্তি ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে বাসায় ফেরে। বিশ্রামের জন্য শয্যাগ্রহণের সুফল ও ফজিলতে রয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুরুত্বপূর্ণ হাদিস।
হযরত বারা ইবনে আযিব হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) তাকে বলেছেন, ‘যখন তুমি তোমার শয্যা গ্রহণের ইচ্ছা করবে, তখন সালাতের ন্যায় অজু করে ডান কাত হয়ে শয়ন করবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
যে ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় (অজু অবস্থায় ) ঘুমায় তার সাথে একজন ফেরেশতা নিয়োজিত থাকে। অতঃপর সে ব্যক্তি ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার সাথে সাথেই আল্লাহ্র সমীপে ফেরেশতাটি প্রার্থনায় বলে থাকে, হে আল্লাহ্! তোমার অমুক বান্দাকে ক্ষমা করে দাও, কেননা সে পবিত্র অবস্থায় ঘুমিয়েছিল।’ (সহীহ ইবনে হিব্বান)
সুতরাং মানুষের যখনই শয্যা গ্রহণের প্রয়োজন হবে বা ইচ্ছা পোষণ করবে তখন অজুর সহিত ঘুমালে আল্লাহর দরবারে মাগফিরাত লাভ হবে। আল্লাহ তাআলা সবাইকে ক্ষমা পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।


শেয়ার করুন