নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে হত্যা করা হচ্ছে

বাংলামেইল:

rizvi রিজভী বিরোধী দলের আন্দোলন ঠেকাতে আবারো সরকারের হত্যার নেশায় পেয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো আবারো কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে আন্দোলনরত বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করছে।

বর্তমান সঙ্কট নিরসনে সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার কথা আবারো উল্লেখ করেন তিনি।

বুধবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনির স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘এরই মধ্যে দশের অধিক বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যার সংবাদ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি করছে পুলিশ-র‌্যাব, যাকেই পাওয়া যাচ্ছে তাকেই সেখান থেকে তুলে নিয়ে হয়তো বা সেখানেই অথবা অন্যকোন অজ্ঞাত স্থানে গুলি করে হত্যা করার পর লাশ উদ্ধার দেখাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘গত বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন পূর্বাপর বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে বাসা থেকে কিংবা অন্য কোনো জায়গা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে চিরদিনের জন্য গায়েব অথবা কয়েকদিন পর তার ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকার মতোই বর্তমান চলমান আন্দোলনে আবার সেটারই পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি দলের বেপরোয়া ক্যাডারদের ভয়াল তাণ্ডবে দেশবাসী বিমূঢ়, হতভম্ব ও আতঙ্কিত। অবৈধ ক্ষমতাসীনদের বন্য প্রতিহিংসার এমন ভয়াবহ চিত্র অন্য কোনো দেশে বিরাজমান আছে কী না সন্দেহ।’

রিজভী আহমেদ বলেন, ‘গত পরশু রাতে রাজধানীতে সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনিকে তার মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। এছাড়াও নড়াইলের পৌর কমিশনারের লাশ ঢাকায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। শুধুমাত্র বিরোধী দলের আন্দোলনকে দমানোর জন্য সরকারি বাহিনীগুলোকে মানবতাবিরোধী গুম, গুপ্তহত্যার অবাধ লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এই অবৈধ সরকার দেশকে হত্যা ও লাশের মহামারীর দেশে পরিণত করার জন্য পোড়ামাটি নীতি অবলম্বন করছে।’

তিনি অভিরেযাগ করেন, এই ভোটারবিহীন সরকার এজেন্টদের দিয়ে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে নাশকতা সৃষ্টি করে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপাতে হরদম মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছে। অধিকাংশ গণমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কব্জা করে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কুৎসা আর অপপ্রচারের ধুম চালানো হচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগ যা বলে এবং প্রচার চালায় ঠিক তার উল্টোটাই জনগণ বিশ্বাস করে। সুতরাং জনগণের দাবি হচ্ছে, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ঘোষণা করা।’

বিবৃতিতে চলমান অবরোধের পাশাপাশি র‌্যাব-পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে হত্যা, গুপ্তহত্যা ও বিভৎস দলন-পীড়নের প্রতিবাদে বুধবার থেকে শুরু হওয়া ঢাকা মহানগরীসহ ঢাকা বিভাগ ও খুলনা বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল সফল করার জন্য ২০ দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও দেশের সর্বস্তরের জনগণকে আহ্বান জানান রিজভী।


শেয়ার করুন