নিহত জঙ্গি নিবরাসের পুরনো টুইট: চিরবিদায়

nibrasসিটিএন ডেস্ক:

গুলশান হামলায় অংশ নেওয়া হামলাকারীদের একজন নিবরাস ইসলাম। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ছাত্রের টুইটার অ্যাকাউন্টে পাওয়া গেছে পুরনো বেশকিছু টুইট। প্রায় দুইবছর আগে বেশ কিছুদিন তিনি নিয়মিত টুইটার ব্যবহার করেছেন বলেসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে প্রমাণ রয়েছে।
২০১৪ সালের ১ নভেম্বর তিনি টুইট করেন, ‘Goodbye for good’।

একই বছরের ১৬ অক্টোবর নিবরাস তিনটি টুইট করেন।  ইংরেজিতে লেখা টুইটগুলোর বাংলা করলে যথাক্রমে দাঁড়ায়—
‘আমাকে তোমার আর প্রয়োজন নেই। সুখে থেকো ওর সঙ্গে। সবাই আমার চেয়ে অনেক ভালো। আমাকে কোথায় পাবে জানো তুমি।’
‘আমি চিরদিন তোমার অপেক্ষায় থাকবো। যখনই আমাকে তোমার চাই। আমি শুধু একটা ফোন কল দূরত্বে আছি। কিন্তু, মনে হচ্ছে তুমি আমার স্থানটা আর কাউকে দিয়ে ফেলেছো। তোমাকে দ্বিধাগ্রস্ত দেখতে আমি চাই না।’

‘কিন্তু, তোমার কাছ থেকে অন্তত কিছু দিন দূরে থাকাই ভালো হবে। তাহলে তুমি হয়তো বুঝতে পারবে, আসলেই তুমি কী চাও। আমি একটা ফোন কল দূরত্বে আছি শুধু।  আমি আছি।’নিবরাসের-টুইটার-অ্যাকাউন্টনিবরাসের সর্বশেষ টুইট—

‘সকল প্রশংসা আল্লাহর। প্রিয় মানুষগুলোর সঙ্গই প্রকৃত সুখ। আর ওসব বন্ধুদের সঙ্গও, যাদের কথা সারাক্ষণ মনে পড়ে।’

নিবরাসের ব্যক্তিগত টুইটার-পাতায় দু’টি টুইটার অ্যাকাউন্টকে অনুসরণ করতে দেখা যায়, যেগুলো থেকে ইসলামকেন্দ্রিক বিভিন্ন মতামত টুইটারে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। অ্যাকাউন্ট দু’টির নাম সামি উইটনেস ও আনজেম চৌধুরী।

গুলশানের হামলাকারীদের একজন নিবরাস ইসলাম নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।  সাবেক সহপাঠীরা শনাক্ত করে তার ছবি ও পরিচয় সামনে এনেছেন। দ্য এশিয়া ফয়েলসের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ নেওয়াজ লিখেছেন, আমি আমার ভাবনাগুলোকে গোছাতে চেষ্টা করছি। হামলাকারীদের মধ্যে অন্তত দু’জনকে আমাদের অনেকেই চেনে।

তিনি আরও বলেন, কয়েকবছর আগে এদেরই একজনকে (নিবরাস ইসলাম) আমি কাছ থেকেই দেখেছি। এদেরই একজন ফুটবল খেলতে পছন্দ করতো, তার আচরণের জন্য বেশ জনপ্রিয় ছিল। এই ছেলেই কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে চেক-ইন দিতে পছন্দ করতো।  দু’জনকেই গত ফেব্রুয়ারি থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না।

১ জুলাই রাতে গুলশান ২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের হোলি আর্টিজান হোটেলে এক বর্বরোচিত জঙ্গি হামলায় দেশি বিদেশি ২০জন নারী-পুরুষ ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ২ সদস্য নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। পরে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে ছয় জঙ্গির মৃত্যু ঘটে, একজনকে আটক করা হয়। জিম্মি থাকা দেশি বিদেশি ১৩ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়।


শেয়ার করুন