নাশকতার মামলায় ১৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

Untitled-3_0সিটিএন ডেস্ক:

হরতাল চলাকালে সিরাজগঞ্জের বেইলি ব্রিজ ভাঙাসহ নাশকতার মামলায় ১৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালত। এছাড়াও ১৩জনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ৩২ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আসামিদের সবাই বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কর্মী।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক গোলাম আহম্মেদ খলিলুর রহমান এ আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ১১ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত একজন এবং পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত ১০ জন। বাকি ১৭ আসামি পলাতক রয়েছেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি আবু সাইদ সুইট, সদর থানার চক ব্রাহ্মণগাঁতী গ্রামের মিজানুর রহমান, খলিশাকুড়া গ্রামের কাইউম মুন্সি, খলিশাকুড়া খিচুড়ি পাড়া গ্রামের মোকলেসুর রহমান, রিয়াজ হাসান রাজু, চন্দ্রকোণা গ্রামের চাঁন মিয়া শেখ, শাহ আলম, চর ছনগাছা গ্রামের সুমন, হামিদ, ঘোড়াচড়া এলাকার মোমিন, নতুন ভাঙা বাড়ি দক্ষিণপাড়া এলাকার সবুজ, জারিলা পোড়াবাড়ি এলাকার আনিসুর রহমান, পূর্ব মোহনপুর এলাকার আব্দুল আলিম ওরফে ডাকাত আলিম, বাবু ওরফে ডাকাত বাবু, ধানবান্ধি জেসি রোড এলাকার মোতালেব ওরফে তালেব।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
পাঁচ বছর সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- শিলন্দা এলাকার শফি, হোসেনপুর বউ বাজারের হাকু, আমলা পাড়ার আলমগীর আলম ওরফে প্যাটেল আলম, দৌলতপুর খোকশাবাড়ির জুড়ান আলী, একডালা শহর এলাকার লুৎফর ভূইয়া, পুরাতণ শৈলাবাড়ির বাবুল শেখ, হাট সারটিয়ার সানোয়ার হোসেন, গাছাবাড়ির আলেক চাঁদ, বাঐতারার ইসমাইল হোসেন, খোকসাবাড়ি হাটখোলার মোস্তাকিম, আলমগীর হোসেন, ধানবান্দি জেসি রোডের জিয়া হাসান ওরফে জন ওরফে জনি, মেহেদী হাসান পাপ্পু।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১১ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের সদর থানার ফকিরতলা এলাকায় সরকারি বেইলি ব্রিজ ভেঙে ফেলে হরতাল সমর্থকরা। এ ঘটনায় জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ৪০ জনকে আসামির করে মামালা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন পরে তদন্ত শেষে আরও ২০ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন।
পরে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ২০১৫ সালে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে স্থানান্তর করা হয়।
ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক ২৮জন কারাদণ্ড দেন এবং ৩২জনকে খালাস দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু।


শেয়ার করুন