নানা কর্মসূচিতে পালিত হচ্ছে মিলন দিবস

2015_11_27_11_22_33_kkgOP0ufsXrS1kglFRQp6Aonr831rV_originalসিটিএন ডেস্ক :

আজ ২৭ নভেম্বর শুক্রবার শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস। রাজনৈতিক এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে দিবসটি।

১৯৯০ সালের এই দিনে তৎকালীন সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে চূড়ান্ত পর্বে সামরিক জান্তার পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সন্নিকটে নিহত হন তিনি।

ডা. মিলনের আত্মত্যাগের কয়েকদিনের মধ্যেই গণআন্দোলন ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয় এবং স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটে। নিশ্চিত হয় গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার পথ।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা.মিলনের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ, বিশেষ মোনাজাত এবং টিএসসির সামনে মিলন স্মৃতি চত্বরে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন।

আওয়ামী লীগ এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মেডিকেল কলেজ চত্বরে ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে ফাতেহা পাঠ, বিশেষ মোনাজাত ও শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন।

দলের সাধারণ সম্পাদক এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শহীদ মিলন দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য দলের নেতা-কর্মীসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

মেধাবী ডা. মিলন পেশাগত সততা, দক্ষতা ও সাংগঠনিক কর্মতৎপরতায় ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি তৎকালীন বিএম এর নির্বাচিত যুগ্ম সম্পাদক, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ এবং ঢাকা কলেজের বায়োকেমিস্ট বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।

পেশাজীবী ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রিয়জন ও প্রিয়মুখ ছিলেন তিনি। ডা. মিলন বাংলাদেশের পেশাজীবী আন্দোলানের একজন দক্ষ সংগঠক ছিলেন। নিজের চিকিৎসা পেশার সেবা ও মানবকল্যাণে নিবেদিত থাকার পাশাপাশি পেশার দক্ষতা, গুরুত্ব ও পেশাজীবীদের দাবি আদায়ে সবসময়ই ছিলেন আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ স্বাধীনতা চিকিসক পরিষদ (স্বাচিপ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা.মিলনের কবরে পাশে কাল সকাল ১০ টায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম প্রধান অতিথি থাকবেন।

দিবসটি উপলক্ষে শহীদ ডা. মিলন স্মৃতি সংসদ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।


শেয়ার করুন