নাজিরারটেক ঘাটে ইজারাদারদের দৌরাত্ম্য

অনিয়ম
শাহেদ ইমরান মিজান, সিটিএন: 

কক্সবাজার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের বহুল আলোচিত নাজিরারটেক ঘাটে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র নৌকা মাঝি ও ব্যবসায়ীদের হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘাট ইজারা নেয়া ইজারাদাররা ক্ষুদ্র নৌকা মাঝি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অনিয়মাতান্ত্রিক ভাবে অতিরিক্ত টোল আদায়, অসদাচরণ করছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। এতে ক্ষুদ্র নৌকা মাঝি ও ব্যবসায়ীরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
ক্ষুদ্র নৌকা মাঝি ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৮৮ সালে নাজিরারটেক ঘাট চালু হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ পর্যন্ত ক্ষুদ্র নৌকা মাঝি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোন ধরণের নেয় হতো না। কিন্তু চলতি মৌসুমে স্থানীয় রফিক ও মোঃ রুবেলসহ আরো কয়েক জন মিলে ঘাটটি ইজারা নেয়। ঘাটটি ইজারা নেয়ার পরই একচেটিয়া টোল আদায়ে নেমে পড়ে তারা। তারা শুরুতেই ক্ষুদ্র নৌকা মাঝি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টোল চাপিয়ে দেয়। কিন্তু এতেও চরম অনিয়ম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, বড় বোট ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে টোল নেয়া নেয় ক্ষুদ্র নৌকা মাঝি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও জোরপূর্বক সমান টোল আদায় করছে। এতে চরম বিপাকের পড়ে গেছে ক্ষুদ্র নৌকা মাঝি ও ব্যবসায়ীরা।
ক্ষুদ্র নৌকা মাঝি ও ব্যবসায়ীরা জানান, একটি ছোট বোট থেকে দিনে আয় হয় সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা। সেখান থেকে তেল খরচ বাদ দিলে আর থাকে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। এই ৪০০ টাকা থেকেই ১০০ টাকা টোল দিয়ে দিতে হচ্ছে।
দাবিকৃত টোল না দিলে বোট ও মাছ আটকে রাখে ইজারাদাররা। এমনকি একটু এদিক-ওদিক হলেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। অনেক সময় মারধর করারও অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে আয়ের একটি অন্যতম অংশ টোল দিতে গিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে এসব ক্ষুদ্র নৌকা মাঝি ও ব্যবসায়ীরা। তাই তারা এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা আহ্বান জানান।
অভিযোগের ব্যাপারে জানা জন্য প্রধান ইজারাদার রফিকের সাথে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


শেয়ার করুন