নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশীসহ নিহত ২

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্ক :

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাসংলগ্ন চাকঢালা সীমান্তে গতকাল সোমবার রাত ১১টা থেকে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সাড়ে ১৬ ঘণ্টায় অ্যান্টি পার্সোন্যাল মাইন বিস্ফোরণে দুইজন নিহত হয়েছে। নিহতরা একজন রোহিঙ্গা ও অপরজন বাংলাদেশি।

সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আন্তর্জাতিক পিলার নম্বর ৪৪ এর কাছাকাছি ছনখোলা এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো পয়েন্টের তারকাঁটা বেড়া লাগোয়া এলাকায় হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। এতে বাংলাদেশি নাগরিক হাশিম উল্লাহ (৩৮) নিহত হয়েছেন। আহত রোহিঙ্গা নাগরিক আবদুল কাদেরের (৪০) অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

এর আগে সোমবার রাত ১১টার দিকে সীমান্তের ৪৬ নম্বর পিলারসংলগ্ন আসারতলির ওপারে মাইন বিস্ফোরণে দুই রোহিঙ্গা আহত হন। এদের মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পথে মোকতার হোসেন (৪০) মারা যান।

একটি নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, বিভিন্ন যুদ্ধ এলাকায় ‘বেবি ট্র্যাপ’ হিসেবে লোভনীয় বস্তুর সঙ্গে মাইন সংযুক্ত করে হতাহতের ঘটনা ঘটানো হয়। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরসংলগ্ন সীমান্তেও মোবাইল ফোন, তরল পানীয়ের ক্যান, নকল স্বর্ণ খণ্ডসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যের সঙ্গে স্থলমাইন সংযুক্ত করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এ ধরনের প্রাণঘাতি ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করেছে বলে তারা তথ্য পেয়েছে।

এদিকে, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাসলিম ইকবাল চৌধুরী জানান, এতদিন ধরে দুর্গম এলাকায় ঘুমধুম-তম্ব্রু পয়েন্টে মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলেও সোমবার থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরের কাছাকাছি চাকঢালা-আসারতলি পয়েন্টে কয়েক দফায় মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

তাসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন, “এটি সীমান্তসংলগ্ন এলাকাবাসীর কাছে চরম হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। ” তিনি বলেন, “উপর্যুপরি স্থল মাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। “


শেয়ার করুন