নাইক্ষ্যংছড়িতে মারমারা মেতেছে জলকেলি উৎসবে

হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি:
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় করার আহবান জানিয়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে চলছে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহি সাংগ্রাই (বাংলা বর্ষবরণ) উৎসব ও “জলকেলি” বা “পানি খেলা”। পানি খেলাকে কেন্দ্র করে মারমা পল্লীগুলোতে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। পাহাড়ীদের পাশাপাশি বাঙালী সম্প্রদায়ের মানুষও পানি খেলায় অংশ নিচ্ছে। এ উৎসব পরিণত হয়েছে পাহাড়ী-বাঙালীদের মিলন মেলায়।
নাইক্ষ্যংছড়ি ছালেহ আহমদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পানি খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বৈসাবি উৎসব শেষ হবে ১৯ এপ্রিল। এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এদিকে বাংলা নববর্ষ ১৪২২ ‘কে আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে স্বাগত জানানোর পর গত মঙ্গলবার থেকে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের উপজাতী পল্লীগুলোতে তরুণ-তরুণী ও আবাল বৃদ্ধারা মেতে উঠেছে নানা অনুষ্ঠানে। প্রতিটি ঘরে ঘরে চলছে পিঠা উৎসব। কিশোর-কিশোরীরা সেজেছে রঙিন সাজে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার ইউনিয়নের উপজাতীয় পল্লী থুুইলা অং পাড়া বৌদ্ধ বিহার মাঠে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এক সাংগ্রাই উৎসবের আয়োজন করা হয়। এসময় নিজস্ব পোষাকে সজ্জিত হয়ে মারমা তরুণ-তরুণীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে উৎসব পালন করে। উপজাতীয় তরুণ শিল্প গোষ্ঠীরা নাচে গানে উপস্থিত হাজারো জনগনকে মাতিয়ে তুলে।
এতে, প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলম বলেন, সম্প্রীতির বাইশারীতে পাহাড়ী-বাঙালি কোন ভেদাভেদ নেই। এতদঅঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। শান্তি সম্প্রীতি স্থায়ী করা গেলে পার্বত্য বাইশারী বাংলাদেশের অণ্যতম সম্পদে পরিনত হবে।
ইউপি সদস্য থোয়াইচা প্রু মারমার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এএসআই ওমর ফারুক, সাংবাদকর্মী আব্দুল হামিদ, সমাজ সেবক মংলা মারমা, মাস্টার মংলাচিং মারমা, মম মারমা প্রমুখ।


শেয়ার করুন