নরসিংদীতে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২

bg-01120170212115348রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ৭টার দিকে উপজেলার দড়িকান্দি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহতদের মধ্যে ফারজানা (৩৫), তার ছেলে মারুফ (১০), কামরুন নাহার লিপি (৪০), রাব্বী (৩) ও কাওসার মিয়া (৩২) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিহতদের মধ্যে ১১ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন-শারমিন (১৮), মানিক মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী মাফিয়া খাতুন (৪৫), ছেলে আনসার আলম (১২), হাছান মিয়া (৪০), তার স্ত্রী হালিমা খাতুন (৩০), ছেলে ইশান মিয়া (১০), সিদ্দিক মিয়ার স্ত্রী  সাধনা আক্তার (৪০),  বাচ্চু মিয়ার মেয়ে ঝুমা আক্তার (১৫), হিরা মিয়া (৪৫) ও মরম আলীর ছেলে নাজমুল (৩০)। নিহতরা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী। তাদের সবার বাড়ি কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার ছাতিরচরে। তারা মাইক্রোবাসে করে ঢাকার কামরাঙ্গীর চর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। আর বাসটি হবিগঞ্জ থেকে ঢাকা যাচ্ছিল।

বেলাবো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম খান বাংলানিউজকে জানান, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে শারমিনসহ ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণ পর মৃত্যু হয় শারমিনের।

পুলিশ জানায়, সকালে কামরাঙ্গীচর থেকে ১৪ জন যাত্রী নিয়ে মাইক্রোবাসটি ছাতিরচরে যাচ্ছিল। পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দড়িকান্দি বাজারে বিপরীত দিক থেকে আসা অগ্রদূত পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থালেই দুই শিশু ও চার নারীসহ ১১ জন নিহত হন। এসময় আহত হন কমপক্ষে ১০ জন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে থানা পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে ভৈরবসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়।

ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি একেএম মিজানুল হক ঘটনাস্থল থেকে বাংলানিউজকে জানান, দুর্ঘটনার পর ঢাকা-সিলেট মসহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা পর দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন দু’টি সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. মোজ্জাম্মেল হক, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে হাবিবা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।


শেয়ার করুন