ধলা পাহাড়ের দাম ১৫ লাখ!

Cow_farসিটিএন ডেস্ক :

অস্ট্রেলিয়ান ধলা পাহাড়। দেখতে অনেকটা ছোট খাটো হাতির সমান। সাদা-কালো গরুটির উচ্চতা সাড়ে ছয় ফুট আর লম্বায় নয় ফুটেরও বেশি। মালিক দাম হাকিয়েছেন ১৫

লাখ টাকা। এত দামের গরু, চারপাশে উৎসুক জনতার ভিড়ও তাই কম নয়।

রাজধানীর রামপুরা আফতাব নগর গরুর হাটে ৫টি গরু নিয়ে এসেছেন আবুল হোসেন নামে এক গরু ব্যবসায়ী। এর মধ্যে ছোটটির দাম হাঁকাচ্ছেন পাঁচ লাখ আর বড়টির ১৫ লাখ টাকা। ৫টি গরুর দাম একসঙ্গে চাচ্ছেন প্রায় অর্ধকোটি টাকা।

রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রামপুরা হাট ঘুরে দেখা মেলে ধলা পাহাড়ের।

একই তাবুর নিচে রাখা ৫টি গরুকে ঘিরে কেবল ভিড় করেই ক্ষান্ত নন, পাশে গিয়ে মুঠোফোনে ছবিও তুলছেন কেউ কেউ। দাম শুনে গরুটির দিকে তারা আরও মনোযোগ দিয়ে তাকাচ্ছেন। বড় গরুটি অস্ট্রেলিয়ান জাতের হওয়ায় কেউ কেউ একে অস্ট্রেলিয়ান ধলা পাহাড় নামেও ডাকছেন।

হাটে কথা হয় সাভার আশুলিয়া থেকে আসা আবুল হোসেনের সঙ্গে। তিনি আয়শা ডেইরি ফার্মের সত্ত্বাধিকারী। তার ফার্মে ৭২টি গরু থাকলেও বাছাই করা ৫টি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন।

এর মধ্যে ধলা পাহাড়ের দাম ১৫ লাখ, একই রঙের আরেকটি গরুর দাম ৮ লাখ, কুচকুচে কালোটির দাম ১০ লাখ, সিঁদুর লাল গরুটি ছয় লাখ ও লাল গরুটির দাম পাঁচ লাখ টাকা হাঁকাচ্ছেন আবুল হোসেন।

তিনি বলেন, আমার গরুর জন্য শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, এদের মধ্যে কোনো ভেজাল নেই।

গরুকে কী খাওয়ান এমন প্রশ্নের উত্তরে আবুল হোসেন জানান, গরুকে তিনি নিয়মিত ছোলা, ছোলার খোসা, কলাইয়ের ডাল, গমের ভুসি, খুদ, ভুট্টার গুড়া ও খেসারি ডালের গুঁড়াসহ বিভিন্ন দামি খাবার খাওয়ান। প্রতি মাসে একেকটি গরুর পেছনে ব্যয় হয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।

হাটে ঢোকার মুখেই পুলিশ বক্সের একটু সামনে সামিয়ানা টাঙিয়ে বসেছেন আবুল হোসেন। যারা গরু কিনতে বা দেখতে এসেছেন, একবারের জন্য হলেও দেখে যাচ্ছেন বিশাল আকারের গরুগুলো। কেউ কেউ গরুর সঙ্গে সেলফিও তুলে নিচ্ছেন।

গুলশান থেকে বাবার সঙ্গে গরু দেখতে এসেছে ১২ বছর বয়সী সিয়াম। বড় গরুটি দেখিয়ে সেটিই সে কিনবে বলে বায়না ধরেছে।

তবে গরুর দাম সিয়ামের বাবার বাজেটের চেয়ে বেশি হওয়ায় ছেলের নজর অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছেন তিনি।

অনেকে আবার গরুর দামের সঙ্গে এর ওজনও মিলিয়ে নিচ্ছেন। গরুর মালিকের দাবি, ধলা পাহাড়ের ওজন কম করে হলেও ৩৫ মণ হবে।

বড় গরুর সংখ্যা বেশি থাকলেও ক্রেতা তেমন চোখে পড়েনি। সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় ক্রেতা অনেক কম বলে জানান গরু ব্যবসায়ী সুজন মিয়া।

আশা করছেন, সোমবার থেকে হাট আরও জমে উঠবে।


শেয়ার করুন