ধর্ষণ মামলার আসামীকে ছেড়ে দিল উখিয়া থানা পুলিশ!


13342912_193434601056879_5758856485500684216_n copyবিশেষ প্রতিনিধি:

উখিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত এক আসামীকে বিশেষ উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, গত ২৮ জানুয়ারী রাত ১০ টার দিকে জালিয়াপালং মনখালী পূর্বপাড়া গ্রামের আলী আহম্মদ বলির ছেলে মোঃ রাশেল (২৭) সহ একদল দূর্বৃত্ত একই গ্রামের মৃত মীর কাসেমের ১৪ বছরের এক শিশু কন্যা কুলসুম বেগমকে অপহরণের পর মনখালী ঝাউ বাগানের সমুদ্র চরে নিয়ে ধর্ষণ করে। উত্ত ঘটনায় ধর্ষিতার মাতা থানায় মামলা করেন।
তবে মামলা দায়েরের পূর্বে স্থানীয় আব্দুল্লাহর পুত্র চৌকিদার আবুল বশর (৩৩) ধর্ষণ ঘটনা দেরি হয়ে গেছে, মামলা দুর্বল হয়ে যাবে ইত্যাদি অজুহাত তুলে ধর্ষিতাকে বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে উখিয়া সদরের আবাসিক আরাফাত হোটেলে নিয়ে সেও তাকে ধর্ষণ করে।
এতে ভিকটিম কুলসমের মা ধর্ষণের ডাক্তারী পরীক্ষা করালে পরীক্ষার রিপোর্টে ধর্ষণ ঘটনার বিবরণে ভিন্নমত পাওয়ায়, ধর্ষিতার জবানবন্দী অনুযায়ী পুলিশ বশরকে থানা কম্পাউন্ড থেকে ২৮ জুন মঙ্গল বার দুপুরে আটক করেন। তার আটকের বিষয়টি উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের কাছেও স্বীকার করেছিলেন যা বিভিন্ন অনলাইন গনমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশিত হয়।
কিন্তু একই দিন রাত ১১ টার দিকে ধর্ষিতার ভাই মুহাম্মদ রফিক সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, মনখালী ওর্য়াডের মেম্বার মুসা ও চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী থানায় গিয়ে পুলিশকে বিশেষ উৎকোচ দিলে জবানবন্দী অনুযায়ী আটক হওয়া চৌকিদার বশর ধর্ষণ মামলা থেকে রেহায় পেয়ে যায়। এমনকি সে ধর্ষিতাদেরকে হাকাবকা করে থানা থেকে ছাড়া পেয়ে চলে আসে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, আমরা ধর্ষিতাকে নিয়ে যেখানে ঘটনার শিকার সেই আবাসিক হোটেলের রেজিষ্টার খাতা এবং রুমে নিয়ে পুলিশকে পরিদর্শন করে দেখিয়েছি। এত সব আলামত পাওয়ার পরও পুলিশ কেন তাকে ছেড়ে দিল তা আমরা কিছুই বুঝতে পারছিনা। আশা করি আমরা ন্যায় বিচার পাব! নির্যাতনের শিকার শিশু কন্যার ভাই আরো বলেন, আমরা মোট পাঁচ জনকে আসামী করেছি তার মধ্যে নুর মোহাম্মদ ও রাশেলকে মামলার চার্জশীট থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্ঠা করছেন পুলিশ। এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ভিকটিম কুলসুমা ও তার মা থানায় অবস্থান করছিলেন।
তবে এ বিষয়ে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান ব্যতিক্রমভাবে যুক্তি উপস্থাপন করে বলেন, অভিযুক্ত চৌকিদার বশরকে আমরা গ্রেপ্তার করেনি, তাকে থানায় ডেকে জিঙ্গাসাবাদ করেছি কোন রকম তার সম্পৃক্ততা আছে কিনা? কিন্তু তার যথেষ্ঠ তথ্য-প্রমাণা না পাওয়ায় বশরকে ছেড়ে দিয়েছি। এ ছাড়া হোটেলের বিষয়ে যে অভিযোগ তা সর্ম্পূন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি চার্জশীট থেকে আসামীদের নাম বাদ দেওয়ার বিষয়েও অস্বীকার করেন।


শেয়ার করুন