দেশ আজ মহাবিপদে: হেফাজতে ইসলাম

hefajat-logo-3
সিটিএন ডেস্ক:
যবভধলধঃ-ষড়মড়-৩হাটহাজারী প্রতিনিধি : দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারি ও বিরোধী দলের রাজনৈতিক সংঘাত-সংঘর্ষে অচল হয়ে গেছে বাংলাদেশ। দুই পক্ষের মারামারিতে দেশ আজ মহাবিপদে পড়েছে।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।
সংগঠনের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী অসুস্থতার কারণে সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিতে পারেননি। তার পক্ষে হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
বক্তব্যে বলা হয়, ‘সরকারি ও বিরোধী দলের রাজনৈতিক সংঘাত-সংঘর্ষে অচল হয়ে গেছে বাংলাদেশ। তীব্র রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দলীয় বিভেদে সৃষ্ট হানাহানির আগুনে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম, শহর ও রাজধানীসহ পুরো জনপদে। দুই পক্ষের মারামারিতে দেশ আজ মহাবিপদে পড়েছে। খুনাখুনি, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও মানবাধিকার লঙ্ঘন সীমা ছাড়িয়ে গেছে।’
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ‘রাজনৈতিক লড়াইয়ে ক্ষমতার স্বার্থে আজকে সরকার ও বিরোধী উভয় পক্ষ বিদেশি প্রভুদের কাছে-টানার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। তাদের এহেন মানসিকতা একটি স্বাধীন জাতির জন্য খুবই অমর্যাদাকর। ভিনদেশিদের গোলাম হওয়ার জন্য লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়নি।’
সরকার ও বিরোধী পক্ষকে সতর্ক করে দিয়ে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘টানা অবরোধ ও হরতালে দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। এভাবে আর চলতে দেয়া যেতে পারেনা; দেশবাসী আর মেনে নিতে পারছেনা। দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা শান্তি চাই। রাজনৈতিক সহিংসতা, সংঘাত ও মানুষ হত্যার উৎসবের অবসান চাই। তাই সরকার ও বিরোধী পক্ষকে সতর্ক করে আমরা বলতে চাই, অবিলম্বে কার্যকর সংলাপের মাধ্যমে কাঙ্খিত সমঝোতা ও ফয়সালায় আসুন; অন্যথায় দেশের শান্তিপ্রিয় নাগরিকরা এই জিম্মিদশা থেকে মুক্তির জন্য যেকোনো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হবেনা।’
চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক তৎপরতার বিষয়ে ইঙ্গিত করে বক্তব্যে বলা হয়, কোনো ছলাকলায় বিদেশি শক্তির আগ্রাসন ও অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে দেশকে ইরাক-আফগানিস্তান বানানোর চক্রান্ত করা হলে তার দায়-দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোকেই বহন করতে হবে।’
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হেফাজতে ইসলামীর নতুন কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-
রাজনৈতিক সহিংসতা ও ক্রসফায়ারে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত এবং পেট্রলবোমার আগুনে দগ্ধ ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দেশের সকল মাদ্রাসা ও মসজিদে নিয়মিত দোয়া আয়োজন।
দেশের সঙ্কট থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর সাহায্য কামনায় সকল মাদ্রাসা ও মসজিদে কুনুতে নাজেলা পড়ার ব্যবস্থা করা।

আগামী ৯ ও ১০ এপ্রিল চট্টগ্রাম লালদীঘি ময়দানে দুই দিনব্যাপী শানে রেসালাত সম্মেলন এবং ২৭ ও ২৮ মার্চ কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে দুই দিনব্যাপী শানে রেসালাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী , সিনিয়র নায়েবে আমির মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, যুগ্ম মহাসচিব মঈনুদ্দীন রুহী, আমিরের প্রেস সচিব মাওলানা মুনির আহম্মদ প্রমুখ।


শেয়ার করুন