দেশের কারাগারগুলোতে বিশেষ সতর্কতা

bangla_jail_prison_dhaka_86029সিটিএন ডেস্ক :

পরপর দুই বিদেশি নাগরিককে হত্যার পর নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ সরকার।এই হত্যাকাণ্ডের পর দেশ-বিদেশে প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে নিরাপত্তা ব্যবস্থার নানা দিক বিশ্লেষণ করে এরই মধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে সরকার।

জামায়াতের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা আলী আহসান মুজাহিদ এবং বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতা সাকার চৌধুরীর বিরুদ্ধে মৃত্যুপরোয়ানা জারিকে সামনে রেখে দেশজুড়ে অস্থিরতা তৈরির বিষয়টিকে মাথায় রেখে সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসাবে সরকার দেশের প্রায় সব কারাগারে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে।

বিশেষ করে যেসব কারাগারে জঙ্গি সংগঠনগুলোর সদস্যরা বন্দী রয়েছে সেসব কারাগারে দ্বিগুণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারাগার সূত্র জানায়, কম সময়ের মধ্যে প্রকাশ্যে দুই বিদেশিকে হত্যা এবং এরপর জঙ্গি সংগঠন আইএস এর কথিত দায় স্বীকার করার পরই কারাগারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কারাগারের দায়িত্বে থাকা সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিভিন্ন কারাগারে বন্দী জঙ্গিরা যাতে কারাভ্যন্তরে বসে কোনো ধরনের নাশকতামূলক তৎপরতা চালাতে না পারে বা কোনো পরিকল্পনার ছক কষতে না পারে সেজন্য তাদের ওপর এই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

কারাসূত্রে জানা যায়, দেশের ৬৮টি কারাগারে সাড়ে চারশ জঙ্গি বন্দী রয়েছে। ভয়ঙ্কর জঙ্গিরা বন্দী রয়েছে কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কারাগারে। এর বাইরে সবচেয়ে বেশি জঙ্গি বন্দী রয়েছে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে। এজন্য এই দুই কারাগারের নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি জোরদার করা হয়েছে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী ঢাকাটাইমসকে বলেন, কারাগারে এমনিতেই নিরাপত্তা জোরদার থাকে। তবে এবার একটু বেশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বিদেশি নাগরিকদের হত্যাকাণ্ড এবং দুই মানবতাবিরোধী আসামির ফাঁসি কার্যকরের সময় ঘনিয়ে আসাকে কেন্দ্র করে এই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।


শেয়ার করুন