দরিয়ানগরে ধর্ষণ চেষ্টায় বাধা: হামলায় মহিলাসহ আহত ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার কলাতলী দরিয়ানগর বড়ছড়া এলাকায় ধর্ষন চেষ্টায় বাধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ একই পরিবারের ৭ জন আহত হয়েছে। ১০ জুলাই সকাল ৯টায় দরিয়ানগর বড়ছড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন-বর্ণিত এলাকার মোস্তাক আহমদের মেয়ে মর্জিনা আক্তার (১৬), তার ছেলে জাহেদ(২১) ও মোঃ খোকন (১২), স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩৫), মোস্তাক আহমদের ভাই নুরুল আমিন (৩২) ও তার শ্যালক মোঃ জাকের (২৪)। আহতরা বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সূত্রে জানা যায়, দরিয়ানগর বড়ছড়া এলাকার মোস্তাক আহমদের মেয়ে মর্জিনা আক্তার (১৬) কে একই এলাকার ছমির উদ্দিন ও শীর্ষ মানবপাচারকারী লায়লা বেগমের পুত্র রফিক (২০) দীর্ঘদিন ধরে নানা ভাবে কু-প্রস্তাব দিয়ে যৌন হয়রানি চেষ্ঠা চালিয়ে আসছিল। এরই অংশ হিসেবে ১০ জুলাই মর্জিনা আক্তার নিজ বাড়ি থেকে চাচার বাড়ি যাওয়ার সময় রফিক একা পেয়ে মর্জিনাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্ঠা চালায়। এসময় মর্জিনা শোর চিৎকার দিলে তার পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধারের চেষ্ঠা চালায়। এসময় রফিকের মা শীর্ষ মানবপাচারকারী লায়লা বেগম (৪০), ছালামের পুত্র বাহারু (৩০), ছৈয়দ আলমের পুত্র মোঃ ছালাম (৪০), নুরুল ইসলামের স্ত্রী রেহেনা (৪৫), ছৈয়দ হোসেন (৪৫) সহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজন মর্জিনার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে সদও হাসপাতালে ভর্তি করায়। এসময় আহত হয় মোস্তাক আহমের মেয়ে মর্জিনা আক্তার (১৬), পুত্র জাহেদ(২১) ও মোঃ খোকন (১২), স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩৫), মোস্তাক আহমদের ভাই নুরুল আমিন (৩২) ও তার শ্যালক মোঃ জাকের (২৪)। পেটে লাথি ও কিল ঘুষির আঘাত প্রাপ্ত হওয়ায় মর্জিনা আক্তারের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আহতদের মধ্যে মোস্তাক আহমদের ছোট ভাই নুরুল আমিন বলেন, স্বাভাবিক চলাচলের রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় রফিকের বাড়ির পাশ দিয়ে তাদের চলাচল করতে হয়। ওই দিন একা পাওয়ায় রফিক মর্জিনাকে ধর্ষণের চেষ্ঠা করলে তার চিৎকার শুনে আমরা এগিয়ে গিয়ে মর্জিনাকে উদ্ধার করতে গেলে তাদের পরিবারের সদস্যরা আমাদের হামলা চালায়। আহতরা বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।


শেয়ার করুন