উখিয়ার

থাইংখালী বনাঞ্চল বিরানভূমিতে পরিণত

images (2)শফিক আজাদ, স্টাফ রিপোর্টার ।

উখিয়ার থাইংখালী সংরক্ষিত বনাঞ্চল বিরানভূমিতে পরিনত হতে চলছে । আশির দশকের অভয়ারণ্য হিসাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বনাঞ্চলে সংঘবদ্ধ বনদস্যুদের ধারাবাহিক বন সম্পদ বিট কর্মকর্তার যোগসাজসে লুটপাট ও পাচার বাণিজ্যের কারনে ৫৪৭৫ হেক্টর বনভূমি উজাড় হওয়ার পথে। বর্তমানে থাইংখালী সরকারী বনভূমির দখল বিক্রি অব্যাহত থাকলেও দেখার কেউ নেই। এভাবে বন নিধনজ্ঞ ও পাহাড় কেটে অবৈধ স্থাপনা নির্মান চলতে থাকলে আগামীতে থাইংখালীর বনায়ান সৃজনের মতো আর কোন পরিবেশ থাকবেনা বলে মনে করছেন পরিবেশবাদী সচেতন মহল।

উখিয়া বনরেঞ্জের আওতাধীন থাইংখালী প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর বনভূমি সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, থাইংখালীর বিভিন্ন স্থানে বনভূমির জায়গার উপর বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। বনভূমি দখলকারী ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন, ইতিপূর্বে বন বিভাগের লোকজন তাদের ঘরবাড়ী কয়েকবার ভেঙ্গে দিয়েছে। বর্তমানে তারা বিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নানকে ম্যানেজ করে পুনরায় ঘরবাড়ী মজবুদ করে বেধেছেন। এভাবে তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উখিয়া সদর বিটের শিলের ছড়া, মুহুরীপাড়া, ফলিয়া পাড়া, মধুর ছড়া, কুতুপালং বাগানের পাহাড়, টিএন্ডটি, হাঙ্গরঘোনা, আমতলী, দরগাবিল, হাতিমোরা, লম্বাঘোনা, হাজিম্যার রাস্তার মাথা এলাকা জুড়ে ৩ হাজার ৩০ হেক্টর বনভুমির বিগত ২০০৪ ও ২০০৫ সালে ৩শতাধিক হেক্টর বনভুমির সামাজিক বনায়নের আওতায় এনে সুফলভোগীদের মধ্যে দলিল হস্তান্তর করা হলেও বাকী ২ হাজার ৭শত হেক্টর বনভুমি বেহাত হয়ে গেছে।

পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন বলেন, বিট কর্মকর্তা একার করার কিছুই নেই। কারণ সরকার দলীয় লোকজন বনভূমি দখল-বেদখলে ব্যস্ত দিন রাত। এতে প্রতিবাদ করার কারণে অনেক বিট কর্মকর্তার শাস্তিমূলক বদলী সহ চাকুরী হারাতে হয়েছে। বর্তমানে থাইংখালী বন বিটের অধিকাংশ বনভূমিও তার জানা মতে বেদখলে চলে গেছে বলে তিনি জানান।

অভিযুক্ত বিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইতিপূর্বেও সাংবাদিকেরা আমার বিরুদ্ধে অনেক লিখেছে শুতারাং কাজের কাজ কিছুই করতে পারেনি। আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমার ব্যাপারে সন্তোষ্ট আছে।

এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উখিয়ার রেঞ্জ কর্মকর্তা মির আহমদ বলেন, বনভূমি দখল উচ্ছেদের ব্যাপারে বনবিভাগ সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। তবে জনবল সংকটের কারনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে জানান তিনি।


শেয়ার করুন