তালিকাভূক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীর অপকৌশল!

???????????????????????????????

শামসুল আলম শারেক, টেকনাফ:

টেকনাফে তালিকাভূক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী নিজের অপকর্মকে ধামাচাঁপা দেওয়া এবং স্থানীয় স্ব-শিক্ষিত লোকদের বোকা বানিয়ে একটি মাসিক পুস্তক প্রকাশ করে ধান্ধাবাজী শুরু করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনিবন্ধিত মাসিক ইয়াবা মানে মরণ নেশা নামক একটি মাসিক পুস্তকের নাম দিয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, বিট অফিস, রেঞ্জ অফিস, জিও-এনজিও, বিভিন্ন ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির নিকট ব্যাপকহারে চাঁদাবাজি করে চলছেই ওই পুস্তকের প্রকাশক ও সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী। পাশাপাশি যারা চাঁদা দিতে অক্ষম তাদেরকে তার বইয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করা হচ্ছে বলে জানান লম্বাবিল এলাকার হাফেজ মৌলানা কামাল। তিনি আরো বলেন, আমি একজন ধর্মীয় শিক্ষক হয়ে ওই পুস্তকে আমার নামটি ইয়াবা ব্যবসায়ী উল্লেখ করা চরম মান হানিকর এবং  এর বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, ইয়াবা মানে মরণ নেশা শুধুমাত্র একটি অনিবন্ধিত পুস্তক।  প্রস্তুতি সংখ্যা তৃতীয় সংস্করণের বইটি শুধুমাত্র হোয়াইক্যং বাজারে পাওয়া যায়। তাও হাতেগোনা কয়েকজনের নিকট।  ৬৩ পৃষ্ঠার ওই বইয়ে হযবরল অবস্থা। কোন ধরণের খবর নেই। শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন ও  বিভিন্নজনের বাণী ব্যতীত। ওই পুস্তকের সম্পাদক ও প্রকাশক বহুল আলোচিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৭৬৪ জনের একজন। পুস্তকের শেষে একষট্টি ও বাষট্টি পৃষ্ঠায় হোয়াইক্যং বিজিবি সদস্য ও জওয়ানদের রেফান্স দিয়ে একটি ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকায় মৌলভী, হাফেজ, প্রতিবন্ধিসহ নিরীহদের অন্তভূক্ত করায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। একাধিক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশে কি কেউ নেই, এসব দেখার? ওই পুস্তকে বিভিন্ন প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধরদের ব্যবহার করা হয়েছে। এ তালিকায় স্থান পাওয়া ফরিদ আলম বলেন, ওই পুস্তকের সম্পাদক ও প্রকাশক দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসায় করে একটি সেমিপাকা বাড়ি করে। টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ধরপাকড় অভিযানের সময় সে দীর্ঘদিন আতœগোপন করেছিল। ওই অভিযান শিথীল হওয়ায় সে তার অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়ার জন্য কথিত সম্পাদক বনে যায়। তিনি তার শাস্তি দাবী করেন। মুফিজ আলম বলেন ওই পুস্তকে মনগড়া নাম ব্যবহার করায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জানতে চাওয়া হলে ওই বইয়ের নির্বাহী সম্পাদক তাহের নঈম ও ভার্তা সম্পাদক নুরতাজুল মোস্তফা দাবী করেন ওই পুস্তকের বিষয় কিছুই জানেনা তাঁরা পাশাপাশি ওই পুস্তক নিয়ে কোন অপকর্ম করে থাকলে তার দায়ভারও তারা বহন করবেন না। হোয়াইক্যং বিওপির কোম্পানী কমান্ডার জজমিয়া জানান, তার বিওপির কোন সদস্য এসব কর্মকান্ডে জড়িত নয়। ওই বিষয়টি ভিত্তিহীন ও বানোয়ট। টেকনাফ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মৌলভী রফিক উদ্দীন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পুস্তকটি ব্যাবসার উদ্দেশ্য করা হয়েছে। টেকনাফ ৪২ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্ণেল মোঃ আবুজার আল জাহিদ বলেন, বইটি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


শেয়ার করুন