ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে একযোগে কাজ করার প্রত্যয়

জেলা পরিষদের দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন ক্যশৈহ্লাসহ নির্বাচিতরা

pic-hafiz-29-03-15হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, বান্দরবান থেকে:
নিয়োগ পাওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের পুর্নগঠিত অর্ন্তবর্তীকালীন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে তৃতীয় বারের মত দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন ক্যশৈহ্লা মার্মা। রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় উৎসবমুখর পরিবেশে জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে কমিটির অপর ১৪ সদস্যও আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে জেলার ৭টি উপজেলা থেকেই সমতাভিত্তিতে কমিটিতে স্থান পাওয়া বাঙালি ও ১১টি উপজাতীয় সম্প্রদায়ের ২জন নারী নিজ নিজ যোগদান পত্রে স্বাক্ষর করে নবমনোনিত উপজাতীয় সম্প্রদায়ের চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করেন।
এরই মধ্য দিয়ে পুর্নগঠিত হল বান্দরবান পার্বাত্য জেলা পরিষদ। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ জনকল্যাণে ভূমিকা রাখার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে কাজ করবেন বলে উপস্থিত সবাইকে আশ্বস্থ করেন। সেই সাথে তারা এ দায়িত্বকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন বলেও জানান।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা বলেন, তিন পার্বত্য জেলার জেলা পরিষদগুলো পুর্নগঠনের মাধ্যমে নারীসহ পাহাড়ের সকল সম্পদ্রায়ের মানুষের সমতাভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়াও পরিষদের নবনিযুক্ত সকল বিভাগীয় প্রধানকে সঠিক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে পাহাড়ের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে।
দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: মিজানুল হক চৌধুরী, ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার নকিব আহমেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার দেবদাস ভট্রাচার্য্য, পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোমিনুর রশীদ আমিনসহ সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ।
এদিকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন তিনবারের দায়িত্বপ্রাপ্ত নব-নির্বচিত চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা। সদস্য হিসাবে কাজী মো: মজিবুর রহমান, লক্ষীপদ দাস, জহিরুল ইসলাম, ক্যসা প্রু মারমা, কাঞ্চনজয় তংচঙ্গ্যা, ক্যউচিং চাক, ¤্রাসা খিয়াং, ফিলিপ ত্রিপুরা, থোয়াই হ্লা মং মারমা, থোয়াই চা হ্লা মারমা, সিংইয় ¤্রাে, জুয়েল বম, উপজাতীয় নারী সদস্যা তিংতিংম্যা এবং বাঙালি থেকে ফাতেমা পারুল।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুন নির্বাচনের মাধ্যমে পাশের দুই জেলা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির মতো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ‘বান্দরবান স্থানীয় সরকার পরিষদ’। একজন চেয়ারম্যান (উপজাতি) ও ৩০ জন সদস্য নিয়ে তখন এ পরিষদ যাত্রা শুরু করেছিল। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পর স্থানীয় সরকার পরিষদের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘পার্বত্য জেলা পরিষদ’।
প্রসঙ্গত, ২৫ মার্চ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ফারহানা হায়াত স্বাক্ষরিত এক ফ্যাক্স বার্তায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ‘র নতুন অর্ন্তবর্তীকালীন পরিষদ গঠনের কথা জানানো হয়। এর আগে গত ২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পরিষদ অনুমোদন দেন।


শেয়ার করুন