টেকনাফে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী খুন : স্বামী পলাতক

আমান উল্লাহ আমান, টেকনাফ :
টেকনাফে রশিদা বেগম (৩০) নামে ৪ সন্তানের জননী ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী মোঃ হোছন প্রকাশ হোছন মিস্ত্রি পলাতক রয়েছে। মোঃ হোছন ওরফে হোছন মিস্ত্রি নিহত রশিদার দ্বিতীয় স্বামী।
২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভোরে পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় হত্যাকান্ডের এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের ভাই আব্দুর রহমান জানান, তার বোন পার্শ্ববতী আব্দুস শুক্কুরের ভাড়া বাসায় ৪ সন্তানসহ স্বামীর সাথে বসবাস করতো।
বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে ভাড়া বাসার মালিক শুক্কুরের স্ত্রী বোনের মুমুর্ষবস্থার খবর জানালে সেখানে গিয়ে দেখেন পিঠে ছুরিকাঘাত হওয়া রশিদা ছটফট করতে থাকে। এসময় তাকে দ্রুত টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কক্সবাজার রেফার করেন। কক্সবাজার নেওয়ার পথে হ্নীলা এলাকায় পৌঁছলে ভোর ৫টার দিকে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। স্বামীর ছুরিকাঘাতে তার বোনের মৃত্যু ঘটেছে বলে জানান তিনি। তবে কি কারনে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা তাদের বোধগম্য হচ্ছে না।
ময়নাতদন্তের পর বিকালে নিহতের লাশ টেকনাফে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় স্বামী মোঃ হোছন পলাতক রয়েছে।
নিহতের শিশু পুত্র রিদুয়ান জানায়, রাতে তাদের সৎ পিতা মোঃ হোছন ওরফে হোছন মিস্ত্রি বাহির থেকে এসে সবাইকে ম্যাংগু ফ্রুট জুইস খেতে দেয়। এর পর সে আর কিছু বলতে পারেনা, ভোর রাতের দিকে মাকে ছুরিকাঘাত অবস্থায় ফ্লোরে কাতরাতে দেখেন। পরে পার্শ্ববর্তী রিকসা গ্যারেজে থাকা বড় ভাইকে খবর দেয়া হয়।
এদিকে নিহতের সন্তান ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৩ বছর আগে উখিয়া উপজেলার কোটবাজার তুতুরবিল এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে রাজমিস্ত্রি মোঃ হোসনের সাথে বিয়ে হয় রশিদার। বিয়ের মাস ছয়েক পর একটি মানব পাচার মামলায় সে কারাগারে যায়। প্রায় আড়াই বছর হাজত বাসের পর মাস ছয়েক পূর্বে সে ছাড়া পেয়ে পুনরায় স্ত্রীর সাথে ঘর সংসার করতে থাকেন। এর কিছুদিন পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হলে আত্মীয় স্বজনের মধ্যস্থতায় তা সমাধান হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ জানান, এব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।


শেয়ার করুন